সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলার আসামি কারাগারে
Published: 5th, November 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আসামি আব্দুল মমিন (৪২) এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহ্ মোহাম্মদ জাকির হাসান এই আদেশ দেন। অভিযুক্ত আব্দুল মমিন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মমিনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা (নম্বর: ৪৯৯/২৪) দায়ের করেন।
এই মামলায় আব্দুল মমিন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে, বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার সূত্রমতে, আব্দুল মমিন দীর্ঘ দিন ধরে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এমনকি, কাবিন করার আশ্বাস দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেন তিনি।
তবে বিয়ের সময় ঘনিয়ে এলে মমিন বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এতে ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
মমিন পরবর্তীকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগীর নামে অপপ্রচার চালান এবং শারীরিক সম্পর্কের সময় ধারণ করা ভিডিও ও অডিও প্রকাশের হুমকি দেন। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে মানহানির চেষ্টা করা হলে, পরদিন (১৩ জুলাই) ভুক্তভোগী নারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর উপ-পরিদর্শক হজরত আলী জানান, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ধর্ষণের আলামত হিসেবে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও অডিও কল রেকর্ড সংগ্রহ করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব আলামতের ভিত্তিতেই আদালত পূর্বে মমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত মমিনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন এবং ভুক্তভোগী নারী যেন ন্যায়বিচার পান, সেই আহ্বান জানিয়েছেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।