শুটিং সেটে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ভারতীয় বাংলা টিভি ধারাবাহিকের আলোচিত অভিনেতা জিতু কমল। বুধবার (৫ নভেম্বর) ‘এরাও মানুষ’ সিনেমার শুটিং সেটে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উত্তর চব্বিশ পরগনার ধান্যকুড়িয়া সিনেমাটির শুটিং চলছিল। এ টিমের এক সদস্য ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, “শুটিংয়ের মাঝে হঠাৎ বুকে চাপ অনুভব করেন অভিনেতা জিতু কমল। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অভিনেতার ঠিক কী হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।”
আরো পড়ুন:
ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী
বিয়ে করলেন শ্রাবন্তীর প্রাক্তন স্বামী
বর্তমানে বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের ‘আর্য’। জানা যায়, এ দিন শুটিং সেটে ছিলেন জিতুর সহ-অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। এর আগে এই দুই তারকা ‘বাবুসোনা’ সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন। জিতুর অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার অনুরাগীরা।
সিনেমার পাশাপাশি ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর শুটিং নিয়েও ব্যস্ত জিতু। ধারাবাহিকটি ২০০ পর্ব পেরিয়েছে। চলতি বছরে পর পর বেশ কিছু কাজ করেছেন অভিনেতা। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের পরিচালনায় ‘গৃহপ্রবেশ’ সিনেমায় শুভশ্রী গাঙ্গুলির বিপরীতে দেখা যায় তাকে। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসাও কুড়ান এই অভিনেতা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ র বন ত চ য ট র জ ট ভ ন টক চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা