কলকাতা বইমেলাতে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ
Published: 5th, November 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়েছে ৪৯তম কলকাতা বইমেলার দিনক্ষণ। তবে এবারো অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ। অন্তত এমনটাই মনে করছেন কলকাতা বইমেলা আয়োজকরা। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা আমাদের কর্তব্য করবো। বাকীটা দেখা যাক।
ভারতের সবচেয়ে বড় বইমেলার নাম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। ৪৮তম বইমেলাতেও অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। ফলে বইমেলার ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট হতাশ বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের অংশ নিতে কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশ রাজি আছে। চেষ্টা চলছে কলকাতা বইমেলায় যাতে বাংলাদেশ অংশ নিতে পারে।
সোমবার(২ নভেম্বর) কলকাতার পার্ক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফে জানান হয়েছিল, আগামী বছর ২২ জানুয়ারি, কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন হবে। এবারে মেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিবারের মত মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেক করুণাময়ী সংলগ্ন ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’এই হবে বইমেলা। এই প্রথম থিম কান্ট্রি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সভাপতি সুধাংশু শেখর দে। উপস্থিত ছিলেন, কলকাতায় অবস্থিত আর্জেন্টিনা দূতাবাসের দুই প্রতিনিধিসহ বিশিষ্টরা।
বইমেলার আয়োজকদের তরফে জানানো হয়, ২০২৫ সালের বইমেলায় এসেছিলেন ২৭ লাখ বইপ্রেমী। বই বিক্রি হয়েছে ২৩ কোটি রুপির। ২০২৬ সালের বইমেলায় অংশ নেবে ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, স্পেন, পেরু, জাপান, থাইল্যান্ড এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ। এছাড়াও থাকবে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বহু প্রকাশনা সংস্থা।
সুচরিতা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল র কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বিএনপির গণসংযোগে গুলিতে ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার নিহত
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেওয়া ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিতে নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। গণসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। পুলিশ সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়।
এর আগে বিকেলে নগরের চালিতাতলী এলাকায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন সরোয়ার। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরোয়ার ও শান্ত নামের তিনজন গুলিতে আহত হন। তাঁদের মধ্যে সরোয়ারের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, গুলিতে আহত সরোয়ার মারা গেছেন।
এর আগে গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সরোয়ার। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে সরোয়ারকে গুলি করা হয়।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। একসময় সরোয়ার হোসেনও তাঁর অনুসারী ছিলেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরোয়ার তাঁদের কাছ থেকে সরে যান।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনী জনসংযোগে গুলিবিদ্ধ৫৮ মিনিট আগে২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে সন্ত্রাসী হামলায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটজন নিহত হন। সে ঘটনায় করা মামলায় সাজ্জাদ আলী (বড় সাজ্জাদ) সাজাপ্রাপ্ত হলেও পরে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান। এরপর তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থামাননি। বিদেশ থেকে তাঁর বাহিনীর মাধ্যমে বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারীতে অপরাধ পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন সাজ্জাদ হোসেন (ছোট সাজ্জাদ)।
সরোয়ার এক মাস আগে বিয়ে করেন। তাঁর বিয়েতে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।
আরও পড়ুনকোন আসনে বিএনপির প্রার্থী কে, দেখে নিন০৩ নভেম্বর ২০২৫জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির প্রার্থী গণসংযোগ করার সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। সরোয়ার সেখানে অংশ নিলে সন্ত্রাসী দুটি দলের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে গুলি করা হয়।
এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, এরশাদ উল্লাহ আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাঁর পেটে ছররা গুলি লাগে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৬টিতে বাকি, মহাসড়ক অবরোধ০৩ নভেম্বর ২০২৫