অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটি আয়োজন করছে এক বিশেষ প্রীতি ম্যাচ—প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসিদের আর্জেন্টিনা। রাজধানী লুয়ান্দায় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ১৪ নভেম্বর। তবে মাঠে নামার আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের যেতে হবে ক্লিনিকে, টিকা নিতে হবে তাদের সবাইকে।

আফ্রিকার ওই অঞ্চলের স্থানীয় রোগ থেকে রক্ষায় স্কালোনির দলের খেলোয়াড়দের নিতে হবে একগুচ্ছ প্রতিরোধমূলক টিকা। বাধ্যতামূলক হলুদ জ্বরের টিকার পাশাপাশি আফ্রিকার ওই অংশে ভ্রমণকারীদের মোট সাত ধরনের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোয় প্রবেশের আগে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নানা রোগের বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। আর্জেন্টিনা দলের সদস্যদের পোলিও, হেপাটাইটিস এ, টাইফয়েড, কলেরা এবং মেনিনোকোকাল মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে। ঐচ্ছিকভাবে হেপাটাইটিস বি, টিটেনাস, ডিফথেরিয়া, ম্যালেরিয়া ও জলাতঙ্কের টিকাও নিতে পারবেন তাঁরা।

আরও পড়ুনমেসিদের নিয়ে যেতে আর্জেন্টিনাকে ১৭০ কোটি টাকা দেবে অ্যাঙ্গোলা৩১ অক্টোবর ২০২৫

এই শর্ত পূরণের কাজ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টিকা নিয়েছেন জিওভান্নি লো সেলসো। তিনি স্পেনে টিকা নেওয়ায় কোপা দেল রের ম্যাচের আগে রিয়াল বেতিসের শেষ অনুশীলন সেশনে অংশ নিতে পারেননি।

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ম্যাচটির অর্থনৈতিক দিকও কম নয়। স্পোর্টস নিউজ আফ্রিকা জানিয়েছে, এই প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য অ্যাঙ্গোলা সরকার আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনকে (এএফএ) দিচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অ্যাঙ্গোলায় ফুটবলের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। মাঠে দর্শকের ভিড়ও বাড়ছে দ্রুত। সেই উচ্ছ্বাসকেই কেন্দ্র করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এমন ঐতিহাসিক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা দলে নতুন ম্যাক আলিস্টার-আলভারেজ-ফার্নান্দেজের খোঁজে স্কালোনি ২০ আগস্ট ২০২৫

নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে মরক্কোও চেয়েছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে। তবে অ্যাঙ্গোলার প্রস্তাবটাই ছিল সবচেয়ে লোভনীয়। তাই শেষ পর্যন্ত মেসিদের গন্তব্য—লুয়ান্দা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ১৫ জানুয়ারি রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাঁরা আপিল করতে পারেননি, তাঁরাও খালাস পান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ওই রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি ৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সব আপিল মঞ্জুর করা হলো। সে অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগ ও বিচারিক আদালতের উভয় রায় বাতিল করা হলো। ফলে সব আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য তাঁরা দোষী সাব্যস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।

রায়ে আরও বলা হয়, এসব আপিলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যধারা থেকে প্রতীয়মান হয় যে এ ক্ষেত্রে আইনের এমন অপপ্রয়োগ হয়েছে, যা বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশনের শামিল। এ রায় অন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া যাঁরা আপিল করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিস্তৃত (প্রযোজ্য) হবে। এ সিদ্ধান্তের (আপিল বিভাগের যায়) ফলে, আপিলকারী ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও তাঁরা যে নির্দোষ, তা আবার নিশ্চিত করবে এবং একইভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু করা অযৌক্তিক কার্যধারার অবসান ঘটাবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। এ রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ তিনজন হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেওয়া হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর দুই আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বহাল রাখা হয়।

বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের সাজাসংক্রান্ত উভয় রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া গত বছর পৃথক দুটি আপিল করেন। একই বছর কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন। পৃথক আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় দেন।

খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় অন্য দুই আসামি ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ