ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছে আবু জাফর আহমেদ বাবুল
Published: 5th, November 2025 GMT
প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডেই বাড়ছে এডিস মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে।
কোনো পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন বাড়ছে মশার উপদ্রব। আক্রান্তদের বড় অংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়াও প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজন এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করা।
তাই ডেংগু মশা প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে তার নিজেস্ব কর্মী দিয়ে ৫ নভেম্বর বুধবার ঈশা খাঁ রোড, কিল্লারপুল, তল্লা ছোট মসজিদ, তল্লা বড় মসজিদ, মোকরবা রোড, খানপুর ব্রাঞ্চ রোড, হাসপাতাল এলাকায় ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, আমি চেষ্টা করছি ডেঙ্গু নির্মূল করতে, মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করছি।
মহানগরে এডিস মশাসহ বিভিন্ন মশার উপদ্রব বেড়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা সচেষ্ট এবং সতর্ক রয়েছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনস্বার্থে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
সিলেট চেম্বারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের জেল রোড মোড়ে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর বিকেলে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে নির্বাচনের জন্য দোয়া মাহফিলও করেছেন এসব ব্যবসায়ী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, একটি মহল সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বানচাল করতে চায়। বিগত দিনের মতো বিনা ভোটে চেম্বার পরিচালনার সুযোগ চান তাঁরা। তবে দুটি প্যানেলের নেতারা চেম্বারে সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য দ্রুত নির্বাচন চান। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। আদালত থেকেও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও অদৃশ্য কারণে নির্বাচন আয়োজন হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সংকটে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী খন্দকার শিপার আহমদ, এহতেশামুল হক চৌধুরী, আবদুর রহমান রিপন, মোতাহার হোসেন, আবদুল হাদী, সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, মো. ইমরান হোসাইন, মো. আবুল কালাম, মো. মাজহারুল হক, মো. নাহিদুর রহমান, আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
এদিকে সিলেটের সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতারা দোয়া মাহফিল শেষে বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ব্যবসায়ী মহলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সিলেটের বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রা আরও গতিশীল হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, ব্যবসায়ী ফাহিম আহমদ চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, মাসুম ইফতিখার রসুল সিহাব, মনজুর আহমদ, হুসেন আহমদ, তাহমিদ হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক সাঈদা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে হিসাবে তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচনে দুটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে দুই প্যানেলের ব্যবসায়ীরা আদালতের শরণাপন্ন হন। নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই, এমন নির্দেশনা দেন আদালত।