সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ায় টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটায় কালীগঞ্জ সেতু থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত তাঁরা দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন।

কর্মসূচিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর আগে গত সোমবার মনোনয়ন ঘোষণার দিন এবং গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আধাবেলা হরতাল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করেন।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতা শহিদুল আলম।

আজ মানববন্ধনে কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, জেলা তরুণ দলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এস এম হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুনসাতক্ষীরা-৩ আসন: বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় শহিদুলের সমর্থকদের অর্ধদিবস হরতাল পালন ০৪ নভেম্বর ২০২৫

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শহিদুল আলম জনমানুষের নেতা, গরিবের ডাক্তার। তাঁকে মনোনয়ন না দিলে সাতক্ষীরা-৩ আসন বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাঁরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত পুনর্বিবেচনা করে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে নেতারা সাত দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাঁরা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজন হলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন। 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।

বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’  

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ। 

এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/মিলন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে চোরাচালান মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে শিশুশিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন
  • বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
  • ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বামরাইল সেতু সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন