রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আরও তিনজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলায় গত চার দিনে ৯ ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেল।

আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে সকালে বলেছিল, তাদের প্রতিনিধিদল আগামীকাল আসবে। আবার বিকেলে আইইডিসিআর থেকে নমুনা নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী ৪ অক্টোবর অসুস্থ গরু জবাই করে ১৮টি পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন। পরে ১১ অক্টোবর দারিয়াপুর গ্রামের টুটুল মিয়াও অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে মাংস ভাগ করে দেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, এসব গরুর মাংস খেয়ে বা কাটাকাটির সময় সংস্পর্শে এসে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের পাঁচজন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পরে এ উপসর্গের আরও রোগী আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে একই গ্রামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের মেডিকেল টিম পাঠায়। সেখানে আরও তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। এর আগে গত রোববার ওই গ্রামে আরও একজন অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়।

অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে আক্রান্ত শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, গরু জবাইয়ের পরপর কয়েকজনের শরীরে ঘা দেখা দেয়। গতকাল তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের কাছে গেলে তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু ছাঈদ আজ দুপুরে পীরগঞ্জের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকার সব গবাদিপশুকে আজ অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়েছে।

রংপুর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮ জন, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে একজনসহ জেলায় ৭৮ জন সন্দেহভাজন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জের নতুন ৯ জন আক্রান্তের তথ্য এখনো ওই হিসাবে যুক্ত হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স প রগঞ জ উপসর গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট’ বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মানসিক স্বাস্থ্য ও সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করেছে। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার মতো দক্ষ পেশাজীবীর প্রয়োজন বাড়ছে। সেই প্রয়োজন পূরণ করতেই এ প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি পরিচালনা করবে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি)।

এই মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়াশোনা হবে তত্ত্ব, অনুশীলন ও গবেষণার মিশ্রণে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বাস্তবতা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এখানে ক্লাস নেবেন। প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন চলছে। আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫। প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

সম্প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে এ প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে ব্র্যাক আইইডি ‘মেন্টাল হেলথ ফর অল: ব্রেকিং স্টিগমা, বিল্ডিং ক্যাপাসিটি’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, পেশাজীবী, নীতিনির্ধারক ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেন। তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। কীভাবে স্টিগমা কমানো যায় এবং সবার জন্য ভালো সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করা যায়, এ বিষয়গুলো উঠে আসে আলোচনায়।

আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহ–উপাচার্য আরশাদ মাহমুদ চৌধুরী ও ব্র্যাক আইইডির নির্বাহী পরিচালক ইরাম মরিয়ম। অনুষ্ঠানে ‘থ্রাইভিং টুগেদার: ফ্রম লাইফ টু লিডারশিপ’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনাও হয়। বিভিন্ন পেশার মানুষ তাঁদের নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট’ বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম