ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন দু‌টি কমিটি অনুমোদন করেন।

বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বে) সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

আরো পড়ুন:

মানুষ ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করবে: টুকু

মাদারীপুরে খোকন তালুকদারের মনোনয়ন, বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা

যাত্রাবাড়ী থানা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জামশেদুল আলম শ্যামলকে। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সোহেল আহমেদ খান, শিপন খান, সোহেল মাহমুদ, অধ্যাপক মাহবুব আলম, সালাউদ্দিন সালু, এহতেশাম উদ্দিন নকীব, সুমন আনসারী মনা, হামিদ মোল্লা, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকির হোসেন জিকু, আব্দুল কাদের, মনির হোসেন ও হানিফ (বড়)।

সদস্য হিসেবে আছেন বাদল সরদার, জাহেদ আল লতিফ খোকা, অ্যাডভোকেট ইসহাক তালুকদার, জাহিদ হোসেন শিপলু, বাহার ফরাজী, সিরাজ-উ-দ্দৌলা খোকন, তারিকুল ইসলাম তারেক, ফেরদৌস আহমেদ রনি, ফারুকুজ্জামান মনজু, মাসুম দেওয়ান, আতিকুল হক, সৈয়দ আহমেদ, নাসিম বিন ফারুক মনির, আবদুর রহিম শিকদার, নাসরউদ্দীন নাছির, আনোয়ার হোসেন ভুট্টু ও মাসুদ রানা হৃদয়।

ডেমরা থানা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে এস এম রেজা সেলিমকে (সেলিম রেজা)। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আনিসুজ্জামান (জামান), হযরত আলী, কবির হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম মানিক, খোরশেদ আলম, ইকবাল হোসেন, আক্তার হোসেন মোল্লা, আসাদুজ্জামান আশা, আফজাল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, আব্দুল বারেক, মিলন খন্দকার ও মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম (ওয়াহিদ)।

সদস‌্য হিসেবে আছেন আব্দুল হাই পল্লব, শামসুল হক নীলু, মনির হোসেন খান, ফারুক আহমেদ, ছিদ্দিক মিয়া, আহাদ উল্লাহ, শরিফ হোসেন, মনির হোসেন, মোস্তফা কামাল, আনোয়ার হোসেন, শরিফ হোসেন (সুজন), ওমর ফারুক ভূঁইয়া, রফিক মিয়া, ইসমাইল মিয়া, এ বি পারভেজ,  নুরুল হুদা ও সুফিয়ান।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ১৫ জানুয়ারি রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাঁরা আপিল করতে পারেননি, তাঁরাও খালাস পান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ওই রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি ৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সব আপিল মঞ্জুর করা হলো। সে অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগ ও বিচারিক আদালতের উভয় রায় বাতিল করা হলো। ফলে সব আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য তাঁরা দোষী সাব্যস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।

রায়ে আরও বলা হয়, এসব আপিলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যধারা থেকে প্রতীয়মান হয় যে এ ক্ষেত্রে আইনের এমন অপপ্রয়োগ হয়েছে, যা বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশনের শামিল। এ রায় অন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া যাঁরা আপিল করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিস্তৃত (প্রযোজ্য) হবে। এ সিদ্ধান্তের (আপিল বিভাগের যায়) ফলে, আপিলকারী ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও তাঁরা যে নির্দোষ, তা আবার নিশ্চিত করবে এবং একইভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু করা অযৌক্তিক কার্যধারার অবসান ঘটাবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। এ রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ তিনজন হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেওয়া হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর দুই আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বহাল রাখা হয়।

বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের সাজাসংক্রান্ত উভয় রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া গত বছর পৃথক দুটি আপিল করেন। একই বছর কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন। পৃথক আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় দেন।

খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় অন্য দুই আসামি ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ