অতলান্তের ওপারে বিবসনা হচ্ছে ভোর
Published: 5th, November 2025 GMT
আসমারা শহরের স্বরলিপি
হ্যাঁ—পরা যায় পট্টবস্ত্রের কিমানো মতো পিরহান
বুননে সারসের বিমূর্ত রেখা টানা,
পড়ে আছে অযতনে বহুদিন হলো আলনায়—
পড়ে আছে দিব্যি অবহেলায় পরিধেয় বস্ত্রের বর্ণিল ইকেবানা,
অনামিকায় নীলার অঙ্গুরি
আছে বটে বর্ণ অভিরাম, তবে নেই যথেষ্ট দ্যুতি
আজ নাহয় না-ই করলেম অন্যমনষ্ক হওয়ার ভান,
গৌরচন্দ্রিকায় স্বীকার করে নেয়া যাক
আমরা কেউ তো কখনো রাখিনি প্রতিশ্রুতি;
লগ্ন—জন্মমুহূর্তে দিগন্তে দৃশ্যমান রাশিচক্রের
বিষয়টা কিন্তু রাখতে হয় মাথায়,
বুঝতে পারো—অনন্ত নীলিমায়
এ মুহূর্তে দলছুট
দুটি নক্ষত্র পুড়ে হলো যে খাক,
আমাদের অন্তরঙ্গতা ভালোবাসার স্বর্ণজারনে হয়নি কি পরিপাক?
ঘুরছি দেখো অক্ষরেখায় অতি ধীরে—
শুভলগ্নে এসেছি পড়ে বৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতির প্রভাবে,
উপায় নেই যে তাকাব পেছন ফিরে—
ভালোবাসো না স্মৃতির রেশমে ধূমকেতুর নকশা তুলতে
নীলিমার কিংখাবে?
আমরা তো ভালোবেসেছি যুগলে
ছুটে চলা দৃশ্যপট.
দুরন্ত গতি...
এবার কল্পনা করা যাক কিংবদন্তির সুদর্শন এক অশ্ব—
মাপা-হাতে মননের মার্টিনিতে মেশাও তো মুক্তাভস্ম;
গিয়েছি একত্রে ইরিত্রিয়ায়
কিন্তু সুশারে হয়নি দেখা আশ্চর্য শহর আসমারা,
হাসিল তো করিনি এমন কিছু যে—
মঞ্জুরিত অহংকারের মঞ্জুল-ভাষে হব আত্মহারা;
দেখিনি তেমন কিছু
তারপরও ইরিত্রিয়ার সল্টমার্শের নোনা আবহে দাঁড়িয়ে
যুগলে দেখেছি আফ্রিকার জুটি বাঁধা জলপিপি,
মুসাবিদা করে রেখেছি নীরবে গীতল এক বাখানি
চাইলে তুলতে পারো বাদ্যযন্ত্রে… করে দিতে পারো স্বরলিপি।ইনসোমোনিয়া
কোনো কোনো নিশিরাতে কাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠে ইনসমনিয়া
চাই না হতে আজ নিরুপদ্রব নিদ্রায় নেশাগ্রস্ত—
কিংবা খোয়াবের মহাযানী তীর্থ পরিক্রমায় দেশান্তরী,
ভাসছে নিসর্গের হেফাজতে অঙ্গীকারবদ্ধ
রংধনু রঙের রণতরি... ফরাসি টর্পেডোতে নয় সন্ত্রস্ত
জাহাজি ক্যাপতেনের কাঁধে আমাজনের সবুজিম টিয়া,
চাই না কালঘুমে পেরিয়ে যাক আজকের আশ্চর্য শর্বরী।
অন্য গোলার্ধে কিন্তু আয়নার মুখোমুখি বসে সাজছে
ভোরবিহানের ব্রাইড...র্যাফোল ক্রিমসনে,
বলি হে পান্থ... সুপ্তির অনটনে নাহয় না–ই বা হলে আজ উদ্ভ্রান্ত—
না–ই বা করলে বৃথা প্রণিপাত সুনিদ্রার অন্বেষণে,
নার্সের ইঙ্গিতে সতর্ক সার্জন এক দস্তানা পরতে পরতে
ঢুকছে খান ইউনিসের অপারেশন থিয়েটারে,
জামজাম শরণার্থীশিবিরে এসে পৌঁছেনি ত্রাণবাহী ট্রাক
ছড়াচ্ছে হাহাকার সহস্র সংসারে,
শ্বেতাঙ্গ তিন পর্যটক বাইনোকুলারে দেখে নিচ্ছে
টেলিগ্রাফের তারে বসে থাকা দাঁড়কাক;
বিপরীত গোলার্ধে নিদ্রাহীন আমি... অপেক্ষা করছি
কখনো ছড়াবে জ্যোৎস্না, ফুটবে নাইট ব্লুমিং হাসনাহেনা,
অতলান্তের ওপারে বিবসনা হচ্ছে ভোর, কায়রোতে খুলছে ক্যাফে
এসপ্রেসোতে বিস্ফোরিত হচ্ছে সতেজ ফেনা,
মারজোগা মুরুভূমে বালুকায় পা ফেলছে তুরেঘ বেদুইনের উট
তাঁবুর ছত্রছায়া কিরণের মেহদিতে রঞ্জিত হচ্ছে সেরাসিন কিশোরীর করপুট,
নিদ্রাহীন নিশীথেও নিষ্ক্রিয় হয় না সংবাদের সঞ্চালন
বিরল প্রজাতির তিমি মাছের শরীর ভেদ করে যায়
সুতীক্ষ্ণ হারপুন,
উজাড় ঘোষিত হয় হরিদ্রাভ হরিয়ালের প্রাণপ্রিয় বৃষ্টিবন—
নক্ষত্রমণ্ডলের দগ্ধ পাবকে যদিও প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে ভোরের প্রসূন,
পাই না স্বস্তি... সন্ধান করি ইথিওপিয়ার মধু নিকষিত পানীয়—
কোথাও কোনো ক্যালিওগ্রাফার কী নাম না জানা ভাষায় লিখছে ‘অরুণিম’
তালাশ পাব কি দিবাস্বপ্নের প্রতিষেধক স্বর্গীয় কোনো অমিয়
তুমুল অনিদ্রায় সম্প্রসারিত হয় স্বপ্নহীন শূন্যতা, নীরবে স্পর্শ করে অসীম,
কোজাগরি নিশীথে এমন উজাগরিতে যদি বা কাটে বেশুমার বিভাবরী
ঘাটের পইঠায় ঠেকবে কি জাদুময় সওদায় সাজানো ময়ূরপঙ্খী তরি?
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছবি ফ্লপ, তবু ৬০ কোটি টাকার মালিক এই তারকা–কন্যা
২০১৫ সালে অভিষেকের পর পেরিয়ে গেছে এক দশক। তবু বলার মতো বড় কোনো হিট সিনেমা দিতে পারেননি। তিনি বলিউড অভিনেতা সুনীল শেঠির কন্যা আথিয়া শেঠি। আজ ৫ নভেম্বর অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক অভিনেত্রী সম্পর্কে কিছু জানা–অজানা তথ্য।
শুরুর গল্প
চলচ্চিত্রে খুব বেশি সাফল্য না পেলেও আথিয়া শেঠি এখনো আলোচনায় রয়েছেন তাঁর বাড়তে থাকা বিলাসী জীবনযাপন ও বিনিয়োগের কারণে। বাবা অভিনেতা সুনিল শেঠি; তাই চলচ্চিত্রে তাঁর প্রবেশ ছিল সহজ, কিন্তু অনেক তারকা–সন্তানের মতো তাঁর পথটা একেবারে মসৃণ ছিল না।