মুম্বাইয়ের দুটো বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। মোটা অঙ্কের লাভে ফ্ল্যাট দুটো বিক্রি করেছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।  

সিআরই ম্যাট্রিক্সের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের গোরগাঁওয়ের ওবেরয় এক্সকুইজিটের ৪৭ তলায় অবস্থিত অমিতাভের ফ্ল্যাট দুটো। ২০১২ সালে ৮.

১২ কোটি রুপিতে কিনেছিলেন এই বরেণ্য অভিনেতা। ১৩ বছর পরে প্রতিটি ফ্ল্যাট ৬ কোটি রুপি অর্থাৎ ১২ কোটি রুপিতে বিক্রি করলেন। এতে ৪৭ শতাংশ লাভ হয়েছে ‘শোলে’ তারকার। দুটো ফ্ল্যাটে চারটি পার্কিং সুবিধা রয়েছে।    

আরো পড়ুন:

নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়রের মাকে কতটা জানেন?

বিতর্কিত ‘দ্য তাজ স্টোরি’ কত টাকা আয় করেছে?

তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ফ্ল্যাটটির আয়তন ১ হাজার ৮২০ বর্গফুট। এটি ৬ কোটি রুপিতে কিনেছেন আশা ঈশ্বর শুক্লা। এই লেনদেনে ৩০ লাখ রুপি স্ট্যাম্প ডিউটি এবং ৩০ হাজার রুপি রেজিস্ট্রেশন ফি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফ্ল্যাটটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয় গত ৩১ অক্টোবর। এর পরের দিন দ্বিতীয় ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। 

অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক বচ্চন রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে বিশেষভাবে আগ্রহী। প্রায়ই তারা কেনা-বেচা করে থাকেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অমিতাভ অন্ধেরির ‘দ্য আটলান্টিস’-এ অবস্থিত ৫ হাজার ১৮৫ বর্গফুটের একটি ডুপ্লেক্স ৮৩ কোটি রুপিতে বিক্রি করেন। 

একই বছরের মে মাসে অযোধ্যায় ৪০ কোটি রুপি ব্যয়ে নতুন একটি সম্পত্তি কেনেন। এর ফলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপিরও বেশি। এ বছর বচ্চন আরো ১০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছেন বলিউড প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিতের মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ-আইএমএফ বৈঠক

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মধ্যে পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও রূপান্তর নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় এই বৈঠক হয়।

আরো পড়ুন:

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক

শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ

বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় পোশাক খাতের অবদানকে উচ্চ প্রশংসা করে এবং শিল্প খাতের চলমান রূপান্তর প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা এবং পরিচালক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়র ইকোনমিস্ট কিয়াও চেন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট রুইফেং ঝাং এবং ইকোনমিস্ট আয়া সাইদ।

আইএমএফের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পোশাকশিল্পের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও কিভাবে পোশাকশিল্প প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ নেতারা জানান, প্রতিষ্ঠানটি এখন শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বৈঠকে এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য শুল্ক পরিবর্তন ও বাণিজ্য সুবিধা হ্রাসের বিষয়েও আলোচনা হয়। বিজিএমইএ নেতারা জানান, তারা সরকারকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় থাকে।

বিজিএমইএ নেতারা বৈঠকে শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবসা পরিচালন সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাসের ওপর জোর দেন। তারা উল্লেখ করেন, বোর্ড ইতিমধ্যে সরকারকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের স্থিতিশীলতা, বন্দর ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সুদের হার এক অঙ্কে রাখার বিষয়ে সুপারিশ করেছে। এছাড়া তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ