চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগে গুলিতে নিহত কে এই সরোয়ার?
Published: 5th, November 2025 GMT
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ধানের শীষে ভোটের জনসংযোগের সময় গুলির ঘটনায় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
বগুড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
এর আগে, গত ৩০ মার্চ নগরীর বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেটকারে থাকা দুজন মারা যান। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সরোয়ার।
পরে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে সরোয়ারকে গুলি করা হয়।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। একসময় সরোয়ার হোসেনও তার অনুসারী ছিলেন। তবে, ২০১৫ সালের পর থেকে সরোয়ার তাদের কাছ থেকে সরে যান।
সরোয়ার এক মাস আগে বিয়ে করেন। তার বিয়েতে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে দেখা যায় সরোয়ারকে।
তবে বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। বুধবার জনসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরোয়ারের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির প্রার্থী জনসংযোগ করার সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। সরোয়ার সেখানে অংশ নিলে সন্ত্রাসী দুটি দলের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে গুলি করা হয়।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য জনস য গ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন দুটি কমিটি অনুমোদন করেন।
বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বে) সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানুষ ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করবে: টুকু
মাদারীপুরে খোকন তালুকদারের মনোনয়ন, বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা
যাত্রাবাড়ী থানা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জামশেদুল আলম শ্যামলকে। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সোহেল আহমেদ খান, শিপন খান, সোহেল মাহমুদ, অধ্যাপক মাহবুব আলম, সালাউদ্দিন সালু, এহতেশাম উদ্দিন নকীব, সুমন আনসারী মনা, হামিদ মোল্লা, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকির হোসেন জিকু, আব্দুল কাদের, মনির হোসেন ও হানিফ (বড়)।
সদস্য হিসেবে আছেন বাদল সরদার, জাহেদ আল লতিফ খোকা, অ্যাডভোকেট ইসহাক তালুকদার, জাহিদ হোসেন শিপলু, বাহার ফরাজী, সিরাজ-উ-দ্দৌলা খোকন, তারিকুল ইসলাম তারেক, ফেরদৌস আহমেদ রনি, ফারুকুজ্জামান মনজু, মাসুম দেওয়ান, আতিকুল হক, সৈয়দ আহমেদ, নাসিম বিন ফারুক মনির, আবদুর রহিম শিকদার, নাসরউদ্দীন নাছির, আনোয়ার হোসেন ভুট্টু ও মাসুদ রানা হৃদয়।
ডেমরা থানা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে এস এম রেজা সেলিমকে (সেলিম রেজা)। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আনিসুজ্জামান (জামান), হযরত আলী, কবির হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম মানিক, খোরশেদ আলম, ইকবাল হোসেন, আক্তার হোসেন মোল্লা, আসাদুজ্জামান আশা, আফজাল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, আব্দুল বারেক, মিলন খন্দকার ও মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম (ওয়াহিদ)।
সদস্য হিসেবে আছেন আব্দুল হাই পল্লব, শামসুল হক নীলু, মনির হোসেন খান, ফারুক আহমেদ, ছিদ্দিক মিয়া, আহাদ উল্লাহ, শরিফ হোসেন, মনির হোসেন, মোস্তফা কামাল, আনোয়ার হোসেন, শরিফ হোসেন (সুজন), ওমর ফারুক ভূঁইয়া, রফিক মিয়া, ইসমাইল মিয়া, এ বি পারভেজ, নুরুল হুদা ও সুফিয়ান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব