২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর গুগল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডের বেটা সংস্করণ চালু করে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্রযুক্তির ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। সেদিন অ্যান্ড্রয়েড বেটা ভার্সন ১.০ প্রকাশিত হয়। যদিও বাণিজ্যিকভাবে অ্যান্ড্রয়েড চালু হয় ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। এইচটিসি ড্রিম নামের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড বাজারে আসে।

২০০৩ সালে অ্যান্ড্রয়েড ইনকরপোরেটেড যাত্রা শুরু করে অ্যান্ডি রুবিন, রিচ মিনার, নিক সিয়ার্স ও ক্রিস হোয়াইটের হাত ধরে। প্রথমে ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করেন তাঁরা। যদিও পরের দিকে স্মার্টফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন তাঁরা। ২০০৫ সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েড ইনকরপোরেটেডকে কিনে নেয়।

ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে অ্যান্ড্রয়েডের দ্রুত প্রচলন ঘটে। গুগল লিনাক্স কার্নেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপাচি লাইসেন্সের অধীনে উন্মুক্ত করে দেয়। এই উন্মুক্ত নীতিই অ্যান্ড্রয়েডকে অন্যান্য মোবাইল ওএস সিম্বিয়ান, ব্ল্যাকবেরি ও উইন্ডোজ ফোন থেকে আলাদা করে। গুগল অ্যান্ড্রয়েডকে বিনা মূল্যে বিভিন্ন ফোন প্রস্তুতকারক, যেমন স্যামসাং, মটোরোলা ও এইচটিসির জন্য ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। উন্মুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন ফোন নির্মাতা তাদের যন্ত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েডকে পরিবর্তন ও কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা পায়। অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ্লিকেশন ইকোসিস্টেম বেশ শক্তিশালী। গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে কোটি কোটি অ্যাপ্লিকেশন ও গেমসের বিশাল ভান্ডার গ্রাহকের সামনে অনেক সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

২০১১ সাল থেকে অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। ২০১২ সালে এটি অ্যাপলের আইওএসকে ছাড়িয়ে মোবাইল যন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারের প্রায় ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন শ কোটির বেশি। অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বের বৃহত্তম ইনস্টলড বেজ অপারেটিং সিস্টেম।

২০২৫ সালের ১০ জুন অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ১৬ প্রকাশ করা হয়। এর আগে অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণ কাপকেক, ডোনাট, জিঞ্জারব্রেড, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন ও কিটক্যাট বেশ জনপ্রিয় হয়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব এনেছে। এটি কম দামি ডিভাইসে উন্নত স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করছে।

সূত্র: গিকস ফর গিগস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

যে অপারেটিং সিস্টেম সাড়ে ৩০০ কোটি ব্যবহারকারীর হাতে আছে

২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর গুগল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডের বেটা সংস্করণ চালু করে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল প্রযুক্তির ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। সেদিন অ্যান্ড্রয়েড বেটা ভার্সন ১.০ প্রকাশিত হয়। যদিও বাণিজ্যিকভাবে অ্যান্ড্রয়েড চালু হয় ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। এইচটিসি ড্রিম নামের একটি যন্ত্রের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড বাজারে আসে।

২০০৩ সালে অ্যান্ড্রয়েড ইনকরপোরেটেড যাত্রা শুরু করে অ্যান্ডি রুবিন, রিচ মিনার, নিক সিয়ার্স ও ক্রিস হোয়াইটের হাত ধরে। প্রথমে ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করেন তাঁরা। যদিও পরের দিকে স্মার্টফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন তাঁরা। ২০০৫ সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েড ইনকরপোরেটেডকে কিনে নেয়।

ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে অ্যান্ড্রয়েডের দ্রুত প্রচলন ঘটে। গুগল লিনাক্স কার্নেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপাচি লাইসেন্সের অধীনে উন্মুক্ত করে দেয়। এই উন্মুক্ত নীতিই অ্যান্ড্রয়েডকে অন্যান্য মোবাইল ওএস সিম্বিয়ান, ব্ল্যাকবেরি ও উইন্ডোজ ফোন থেকে আলাদা করে। গুগল অ্যান্ড্রয়েডকে বিনা মূল্যে বিভিন্ন ফোন প্রস্তুতকারক, যেমন স্যামসাং, মটোরোলা ও এইচটিসির জন্য ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। উন্মুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন ফোন নির্মাতা তাদের যন্ত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েডকে পরিবর্তন ও কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা পায়। অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ্লিকেশন ইকোসিস্টেম বেশ শক্তিশালী। গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে কোটি কোটি অ্যাপ্লিকেশন ও গেমসের বিশাল ভান্ডার গ্রাহকের সামনে অনেক সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

২০১১ সাল থেকে অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। ২০১২ সালে এটি অ্যাপলের আইওএসকে ছাড়িয়ে মোবাইল যন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারের প্রায় ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন শ কোটির বেশি। অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বের বৃহত্তম ইনস্টলড বেজ অপারেটিং সিস্টেম।

২০২৫ সালের ১০ জুন অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ১৬ প্রকাশ করা হয়। এর আগে অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণ কাপকেক, ডোনাট, জিঞ্জারব্রেড, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন ও কিটক্যাট বেশ জনপ্রিয় হয়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব এনেছে। এটি কম দামি ডিভাইসে উন্নত স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করছে।

সূত্র: গিকস ফর গিগস

সম্পর্কিত নিবন্ধ