জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভীকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তার আচরণ দলীয় নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি হওয়ায় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে তাকে দলের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
গভীর রাতে সীতাকুণ্ডের ৪ বিএনপি নেতা বহিষ্কার
নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহাজাহান সাজুকে কারামুক্ত করার বিষয়ে আজিজুর রহমান রিজভীর সঙ্গে জনৈক মোহাম্মদ মমিনের কথোপকথনের কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। ওই রেকর্ডে রিজভীকে শাহাজাহান সাজুর সাতটি মামলায় ফাঁসানোর কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে রিজভী বলেন, ‘‘ও চাইলে আমাকে ১ কোটি টাকা, ২ কোটিও দিতে পারে; ৩০ লাখ টাকার গল্প কেন ছড়ায়?’’ এ ঘটনা ফেনীজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা/সাহাব/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
‘মামলা–বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ ফাঁসের পর ফেনীতে এনসিপি নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি
‘মামলা–বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ প্রকাশ হওয়া নিয়ে সমালোচনার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্র। আজ বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ওই নেতার নাম আজিজুর রহমান। তিনি সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক পদে ছিলেন। এনসিপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার (আজিজুর) বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় আপনার আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। আপনাকে দলের সকল দায়িত্ব থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান বলেন, ‘একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পর বিষয়টি আমার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে চার দিনের জন্য শোকজ করেন। এ সময় আমি আমার বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করি। কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজিজুর রহমানে মুঠোফোনের কথোপকথন ভাইরাল হয়। এতে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহাজাহান সাজুকে কারামুক্ত করার বিষয়ে তাঁর নিকটাত্মীয় মোহাম্মদ মমিনের কথোপকথন ছিল। ওই কথোপকথনে আজিজুর রহমানকে মামলায় ফাঁসানোর কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে আজিজুর বলেন, ‘ও চাইলে আমাকে ১ কোটি টাকা, ২ কোটিও দিতে পারে ৩০ লাখ টাকার গল্প কেন ছড়ায়?’ এ কথোপকথন প্রকাশের পর জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার হয়।