জার্মানিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ: জেনে নিন নিয়ম ও সুবিধা (অ্যাপ্রুভ)
Published: 6th, November 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জার্মানি এখন অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য। উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা, তুলনামূলক কম খরচ এবং পড়াশোনা শেষে কাজের সুযোগের কারণে দেশটি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। আরও ভালো দিক হলো, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজও করতে পারেন।
তবে সুযোগটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে জার্মানির আইন, নিয়মকানুন ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হলো—
কাজের সময়সীমাজার্মানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সেমিস্টার চলাকালে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা, সেমিস্টার বিরতিতে পূর্ণকালীন কাজ করতে পারেন।
এটি বছরে মোট ১৪০ পূর্ণদিন বা ২৮০ অর্ধদিন কাজের সমান। এই সীমা অতিক্রম করলে ভিসা স্ট্যাটাস বিপদের মুখে পড়তে পারে।
তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যদি কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের অংশ হয়, তবে এটি এই সীমার মধ্যে গণনা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করলে কিছু ক্ষেত্রে এই সীমার বাইরে কাজের অনুমতি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনসংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাদ দেওয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিল অন্তর্বর্তী সরকার০৪ নভেম্বর ২০২৫কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি বিষয়জার্মানিতে বৈধভাবে কাজ করতে একজন শিক্ষার্থীর থাকতে হবে:
—জার্মান ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর
—জার্মান ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
—সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর
মাসিক আয়২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জার্মানিতে ঘণ্টাপ্রতি ন্যূনতম মজুরি ১২ দশমিক ৮২ ইউরো নির্ধারিত হয়েছে। যদি মাসিক আয় ৫২০ ইউরোর বেশি হয়, তবে শিক্ষার্থীদের সামাজিক নিরাপত্তা অবদান দিতে হয় এবং বার্ষিক ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হতে পারে।
প্রথম আলো ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জোহরান মামদানিকে নিয়ে কী বললেন কুমোর শীর্ষ তহবিলদাতা
বিল অ্যাকম্যান একজন হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক ও ধনকুবের। ট্রাম্পের গোঁড়া সমর্থক তিনি। এবার নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর নির্বাচনী প্রচারে শীর্ষ দাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। সেই অ্যাকম্যান গতকাল বুধবার মেয়র পদে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানিকে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি।
গতকাল বিল অ্যাকম্যান তাঁর এই সহানুভূতিশীল সুরের পেছনের ভাবনাও ব্যাখ্যা করেছেন।
জোহরান মামদানি সম্পর্কে অ্যাকম্যান বলেন, ‘তিনি আগামী চার বছরের জন্য আমাদের মেয়র হতে চলেছেন।’
জোহরান মামদানি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। তাঁর মা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান অধ্যাপক মাহমুদ মামদানিও জন্মগতভাবে ভারতীয়।
ধনকুবের অ্যাকম্যান আরও যোগ করেন, ‘আমি নিউইয়র্ক নগরের জন্য গভীরভাবে ভাবি। ১৮৯০-এর দশকে আমরা নিউইয়র্কের অভিবাসী হওয়ার পর থেকে এই নগর আমার ও আমার পরিবারের প্রতি খুব সদয় ছিল।’
অ্যাকম্যান আরও বলেন, জোহরান মামদানিকে তিনি সমর্থন না করলেও তিনি এই নগরকে সাহায্য করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়র যেই হোন না কেন, আমি তাঁকে সাহায্য করতে পারি।’
ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জোহরান মামদানি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইয়র্ক নগরের ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে জোহরান শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন।
একই সঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী কোনো অভিবাসী প্রথম নিউইয়র্কের মেয়র হলেন। শুধু তাই নয়, এক শতাব্দীর মধ্যে জোহরান হচ্ছেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।