নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপি'র মনোনীত প্রার্থী হল মাসুদুজ্জামান মাসুদ। আপনারা দল করেন বিএনপি আর সেই দলের প্রার্থী হলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। আগামী নির্বাচনে উনাকে আপনেরা একসাথে মিলে মিশে কাজ করে বিজয়ী করবেন ইনশাল্লাহ। 

কারণ বন্দর উপজেলা হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি। বন্দরের মাটিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যেকের ঘাম জড়িত। আমাদের দল মাসুদ ভাইকে ৫ আসনের প্রার্থী দিয়েছে আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়েই তার নির্বাচনের সমস্ত পরিচালনা করব। আপনারা যারা বিএনপি তথা ধানের শীষের সমর্থন আপনারা সবাই একসাথে থাকবেন। 

মাসুদ ভাই আপনাদের সকল উন্নয়নে এবং সমস্ত কর্মকাণ্ডে আপনাদের পাশে থাকবেন। আগামী দিনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের জন্য আপনারা জীবনের সর্বোচ্চ বাজিয়ে রেখে কাজ করে তাকে বিজয় নিশ্চিত করবেন। যেভাবে আপনারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। সেভাবে আপনারা ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয় করে নিয়ে আসবেন।

‎বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়ানুরাগী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় এবং গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানভাগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‎তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশে জনগণ সমস্ত দল ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতি মতামত নিয়ে আগামী দিনে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রনয়ন করেছেন। আমাদের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ পরিচালনা করেছিল। এবং অন্যের দফার মাধ্যমে দেশকে সুজলা সুফলা ও শস্য শ্যামলা একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করেছিলেন। এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান যে একত্রিশ দফা দিয়েছে সেই ৩১ দফার আলোতে আগামীতে বাংলাদেশ পরিচালনা হবে। এই একত্রিশ দফার মাধ্যমে শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকল সমস্ত পেশাজীবী মানুষগণ ভবিষ্যতের সুন্দর জীবন যাপনের পরিকল্পনা করেছেন।
‎তিনি সম্প্রীতি বিএনপি নেতা আওলাদ মাহমুদের উপরে আওয়ামী ও জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তাওলাত মাহমুদ রাজপথের নেতা।তিনি দীর্ঘদিন আমাদের সাথে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। তার মতো রাজপথের নেতার উপরে স্বৈরাচারীদের দোসররা হামলা চালাবে তা সত্যি নিন্দনীয়। আমি বলে দিতে চাই আপনারা হয়তোবা এখন পার করছেন কিন্তু আগামী তিন মাস পর নির্বাচন হবে এরপর কিন্তু আপনারা পার পাবেন না। আপনাদের কিন্তু এর উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে। সুতরাং সাবধান করে দেই আপনারা ভাল হয়ে যান ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ডে যদি লিপ্ত থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
‎বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের সভাপতিত্বে ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন শিশির, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে এলাহী সোহাগ, সিনিয়র সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, পারভেজ খান, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূঁইয়া, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা মোমেন ভূঁইয়াসহ বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ছ ল ন ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম আপন দ র আম দ র সমস ত র জপথ আপন র ই আপন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। 
 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলার আসামি কারাগারে
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে বালকদের ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • সোনারগাঁয়ে মামুন মাহমুদের উদ্যোগে ৮ম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
  • আমরা একক ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : নারায়ণগঞ্জে নাহিদ
  • বিএনপির ধর্মই মানুষের সেবা করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা : মামুন মাহমুদ
  • বিএনপির ধর্ম মানুষের সেবা করা, কল্যাণে কাজ করা : মামুন মাহমুদ
  • বাবুল’র উদ্যোগে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান
  • আড়াইহাজারবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের আজাদের বিশেষ বার্তা
  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি