মুন্সিগঞ্জের এক গণমাধ্যমকর্মীকে পিটিয়ে তার সর্বস্ব লুট করার সময় স্থানীয় জনতা  রানা (২৪) নামে ছিনতাইকারীকে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। আটককৃত রানা বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা এলাকার রতন মিয়ার ছেলে। 

আটককৃতকে বুধবার (৫ নভেম্বর)  দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ২(১০)২৫ নং চুরি  মামলায় ওই ছিনতাইকারীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ৮টায় বন্দর থানার মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে ওই ছিনতাইকারি আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা।

পুলিশের  তথ্যসূত্রে জানা গেছে,  মুন্সীগঞ্জের এক গণমাধ্যম কর্মীকে বেদম ভাবে মারপিট করে তার সর্বস্ব লুট করার সময় স্থানীয় জনতা চিৎকারের শব্দ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে রানা নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। 

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মী সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন না করায় পুলিশ  আটককৃতকে বন্দর থানার দায়েরকৃত মোটরসাইকেল চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের হাজীপুর ও হান্ডুরব্রীজ এলাকায় ছিনতাইকারীদের আনাগোনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

প্রতি রাতে উল্লেখিত স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাসুদুজ্জামানের পক্ষে বন্দর উপজেলা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
  • বন্দরে চোর সন্দেহে ২ যুবক আটক
  • বন্দরে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি পলাশ গ্রেপ্তার
  • টেকনাফে মানব পাচারকারী আটক, উদ্ধার ২৫
  • ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ