নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সামনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি, অন্যটি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। এর জন্য বুধবার সন্ধ্যায় (৫ নভেম্বর) ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ফিফা স্বীকৃত প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এরপর ১৮ নভেম্বর বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দল ঘোষণা, নেই ছেত্রী

বৃষ্টির বদৌলতে আরও ‘এক পয়েন্ট’ পেল বাংলাদেশ

তবে দুই ম্যাচের দলে কিছু পরিবর্তন এনেছেন স্প্যানিশ কোচ কাবরেরা। নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই হলুদ কার্ড পাওয়া ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম নেপাল ম্যাচে থাকছেন না। পাশাপাশি প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়েছেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান ও অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। তাদের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন গোলরক্ষক পাপ্পু এবং ডিফেন্ডার শাকিল হোসেন।

দল ঘোষণা করা হলেও অনুশীলন শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরে। বুধবার জাতীয় দলের প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন মাত্র ১৫ ফুটবলার। বসুন্ধরা কিংসের দশ জন খেলোয়াড় ক্লাব দায়িত্ব শেষে ৭ নভেম্বর থেকে যোগ দেবেন ক্যাম্পে। আর দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরি ও ডিফেন্ডার শামিত সোম যথাক্রমে ১০ ও ১২ নভেম্বর ঢাকায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত নিজেদের ফর্ম নিয়ে ভুগছে। গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হেরে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে নেমে গেছে তারা। চার ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ মাত্র দুই পয়েন্ট। একই পয়েন্ট বাংলাদেশেরও। তবে গোল ব্যবধানে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে লাল–সবুজের দল। গ্রুপের শীর্ষে আছে হংকং ও সিঙ্গাপুর- দু’দলই আট পয়েন্ট নিয়ে মূল পর্বের দৌড়ে এগিয়ে।

নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচ তাই বাংলাদেশের জন্য শুধু প্রস্তুতির মঞ্চ নয় বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগও বটে। কোচ কাবরেরা ও তার শিষ্যরা সেটিই চাইবেন। নিজেদের ছন্দে ফিরে এসে দর্শকদের উপহার দিতে এক ঝলক আশার ফুটবল। 

২৭ সদস্যের বাংলাদেশ দল

গোলকিপার: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, পাপ্পু হোসেন ও মেহেদী হাসান।

ডিফেন্ডার: তারিক কাজী, রহমত মিয়া, শাকিল আহাদ, আবদুল্লাহ ওমর, শাকিল হোসেন, জায়ান আহমেদ, তপু বর্মণ, তাজ উদ্দিন ও সাদ উদ্দিন।

মিডফিল্ডার: কাজেম শাহ, শেখ মোরছালিন, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা (সিনিয়র), সোহেল রানা (জুনিয়র), মোহাম্মদ হৃদয়, হামজা চৌধুরী ও সমিত সোম।

ফরোয়ার্ড: মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন, আরমান ফয়সাল, শাহরিয়ার ইমন, ফয়সাল আহমেদ ও রাকিব হোসেন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ধনকুবেরদের ৪ কোটি ডলার ব্যয়েও জিততে পারেননি কুমো

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান এবং নিউইয়র্ক শহরের তিনবারের মেয়র ও ধনকুবের মাইকেল আর. ব্লুমবার্গসহ আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী অ্যান্ড্রু কুমোর পেছনে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেছেন। তবে এরপরও তাঁরা কুমোকে জেতাতে পারেননি; পারেননি জোহরান মামদানিকে হারাতে।

মামদানির বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে বিশাল বিশাল ডিজিটাল বিলবোর্ড ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিজ্ঞাপনে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন কুমোর তহবিলের জোগানদাতারা। এসব বিজ্ঞাপনের মূল বার্তা ছিল—মামদানি একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী, তিনি ফিলিস্তিনের সমর্থক এবং তুলনামূলকভাবে কম অভিজ্ঞ।

প্রচারের শেষ দিকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলোর ভাষাকে ‘খোলামেলা ঘৃণা’ অভিহিত করেছিলেন মামদানি। কোনো কোনো বিজ্ঞাপনের ভাষা ইসলাম বিষয়ে ঘৃণা (ইসলামোফোবিয়া) ছড়াচ্ছিল। কুমোর পক্ষে তহবিল সংগ্রহকারী ‘ফর আওয়ার সিটি’ নামের প্ল্যাটফর্মের একটি বিজ্ঞাপনে বিধ্বস্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে হাস্যোজ্জ্বল মামদানির ছবি ব্যবহার করেছিল।

কুমোর পক্ষের রাজনৈতিক তহবিল কমিটিগুলো (প্যাক) ৪ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছিল। অন্যদিকে মামদানির পক্ষের প্যাকগুলো সংগ্রহ করতে পেরেছিল মাত্র ১ কোটি ডলারের মতো অর্থ।

আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে সর্বশেষ হিসাবে কোন প্রার্থী কত ভোট পেলেন২ ঘণ্টা আগে

কুমোর পক্ষে যেসব বড় বা সুপার প্যাক অর্থ সংগ্রহ ও প্রচারণা চালিয়েছে ‘ফিক্স দ্য সিটি’ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। মামদানিসহ কুমোর আরেক প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে প্ল্যাটফর্মটি ২ কোটি ৯০ লাখের বেশি ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু তাদের এত অর্থ সফলতার মুখ দেখেনি।

নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে কুমোর দিক থেকে আসা আক্রমণগুলোর জুতসই জবাব দিয়েছেন মামদানি। তিনি ভোটারদের বারবার বলেছেন, এবারের মেয়র নির্বাচন ‘অলিগার্ক বা ধনী শ্রেণি বনাম গণতন্ত্রের’ মধ্যে প্রতিযোগিতা। পাশাপাশি তিনি ধনীদের ওপর কর বসানোর পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুননিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই জোহরান মামদানি১১ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক জনসংখ্যার শহরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বলেছেন, ধনীরা নিউইয়র্কবাসীর উন্নত জীবনযাত্রার পথে বাধা। ক্ষমতায় এতে তিনি নিউইয়র্কবাসীর সার্বিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ