কুষ্টিয়ায় দোকানে দোকানে অনুমোদনহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি
Published: 6th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ার শহরসহ ছয়টি উপজেলা জুড়ে অনুমোদনহীনভাবে গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির অসংখ্য দোকান। এসব দোকানের নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বা বিস্ফোরক লাইসেন্স। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
কুষ্টিয়া শহরের মুদি দোকান, ফার্মেসি, ক্রোকারিজ এমনকি ফাস্টফুডের দোকানেও এখন বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমোদন ছাড়া সিলিন্ডার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিক্রেতাদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, তাদের দোকানের নেই কোনো বৈধ অনুমোদন। অনেকের আবার সিলিন্ডার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কেও ধারণা নেই। বিস্ফোরক ছাড়পত্র বা বৈধ অনুমোদনের কাগজ না থাকলেও নিয়ম মেনে বিক্রির দাবি তুলছেন অনেক দোকান মালিক।
ব্যবসায়ী সংগঠনের তথ্যমতে, কুষ্টিয়া জেলায় খুচরা পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতার সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি, যাদের অধিকাংশই অনুমোদনহীন।
সচেতন নাগরিক কমিটির সিনিয়র সদস্য মিজানুর রহমান লাকি বলেন, ‘‘ছাড়পত্র ছাড়া যত্রতত্র গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো.
তিনি জানান, শিগগিরই প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি অবৈধ সিলিন্ডার কেনাবেচা রোধে ফায়ার সার্ভিস ক্রেতাদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে কত লাভ করলেন অমিতাভ বচ্চন
অমিতাভ বচ্চন সব সময়ই হিসাবি ও পরিমিত জীবনযাপন করা মানুষ। তাঁর বিনিয়োগপ্রীতি নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত এক বছরে জমি ও বাড়ির ওপর তাঁর আগ্রহ যেন আরও বেড়েছে। একদিকে যেমন তিনি নতুন নতুন সম্পত্তি কিনেছেন, তেমনি এবার একসঙ্গে বিক্রিও করেছেন দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়েই চলছে জোর আলোচনা।
গোরেগাঁওয়ের দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি
মুম্বাই শহরের পূর্ব গোরেগাঁওয়ের এক বিলাসবহুল আবাসনে থাকা দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এই ফ্ল্যাট দুটি কিনেছিলেন বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। ফ্ল্যাট দুটি বিক্রি করেছেন ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকায়। একটি ফ্ল্যাটের বিক্রয়মূল্য ৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, অন্যটিও একই দামে বিক্রি হয়েছে। এই হিসাবে তিনি ক্রয়মূল্যের তুলনায় প্রায় ৪৭ শতাংশ লাভ করেছেন।
প্রথম ফ্ল্যাটটি বিক্রি হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর, যার স্ট্যাম্প ডিউটি ছিল ৪৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ফ্ল্যাটটি বিক্রি হয়েছে ১ নভেম্বর। দুটির সঙ্গেই গাড়ি রাখার আলাদা জায়গা রয়েছে, যা ফ্ল্যাটগুলোর মূল্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে।
এর আগেও বিক্রি করেছিলেন ডুপ্লেক্স
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুম্বাইয়ের আন্ধেরির ৫ হাজার ১৮৫ বর্গফুট আয়তনের একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট বিক্রি করেন অমিতাভ। সেই ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮৬ কোটি টাকায়। এই বিক্রি তখনো আলোচনার জন্ম দেয়। কারণ, ফ্ল্যাটটির অবস্থান ছিল শহরের অন্যতম অভিজাত এলাকায়।