ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে শহীদ সোহাগের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
Published: 5th, November 2025 GMT
সুনামগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে শহীদ সোহাগ মিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে শহীদ সোহাগ মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূর ও ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর মো.
এসময় শহীদ সোহাগ মিয়ার পিতা আবুল কালাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তদন্তের সুবিধার্থে আমার ছেলে সোহাগের লাশ ময়নাতদন্ত ও সুরতহালের জন্য উত্তোলন করা হচ্ছে। আমি চাই আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি হোক। জেলা প্রশাসক মহোদয় সশরীরে উপস্থিত হওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া বললেন, জুলাই আন্দোলনের সময় সোহাগকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে। সোহাগের বাবাকে সান্ত্বনা দিতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের খবরে গত বছরের পাঁচ আগস্ট ঢাকায় বিজয় মিছিলে তিনি যুক্ত হন। সেখানে তিনি ও তার ভাই শুভ মিয়া ছিলেন। সেই মিছিলে গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সোহাগ। পরদিন ছয় আগস্ট গ্রামের বাড়িতে তাঁর দাফন হয়েছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ময়ন তদন ত ময়ন তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় নির্দেশনা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর : রাজিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করে সাধারণ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ থেকে শুরু করে মধ্য আলীগঞ্জ দিয়ে ফতুল্লা রেল স্টেশন হয়ে বিভিন্ন বাজার, পাড়া-মহল্লা ও জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় তিনি জনগণের কাছে বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দলের ঘোষিত রূপরেখা তুলে ধরেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
এসময়ে বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, হ্যাঁ না এর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক অগণতান্ত্রিক ভোট কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। হ্যাঁ -না ভোট দিয়ে বিএনপিকে একটি কর্ণারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরুদ্ধে।
বিএনপি এদেশে মানুষের কথা বলে গণতন্ত্রের কথা বলে। বাংলাদেশ একটি উদ্বার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক সেটাই চায় বিএনপি। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতান্তের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুতরাং গণতন্ত্রের কথা বলে বিএনপির সাথে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল পেড়ে উঠা সম্ভব না।
বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা তা পূরণের জন্য বিএনপির কাজ করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অতীতেও তো যেমন ছিল ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের চারটি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আমরা তাদেরকে সুস্বাগতম জানাই। আমাদের দলে দর্শনই হচ্ছে ব্যক্তিত্বে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সে আস্থা রয়েছে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সাহেবের প্রতি। উনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্তা রয়েছে উনি যেই সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে নিবেন।
উনি দল কিনবা ব্যক্তির স্বার্থ চিন্তা করে নিবে না এই বিশ্বাস আমাদের পুরোপুরি আছে। অতএব উনি যার হাতে ধানের শীষ দিবে আমরা অন্ধের মতন তার পক্ষে কাজ করব। আমার কাছে ব্যক্তি কিংবা প্রার্থী সেটা বিষয় না আমার তাকে দিয়েছে আমি অন্ধের মতন তার পক্ষে কাজ করব।
শুধু আমি না বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে একইভাবে সকল নেতাকর্মী যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের নেতাকর্মী তারা সবাই তারেক রহমানের নেতৃত্বের উপর আস্থাশীল তারা অন্ধের মতো দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। এখানে দ্বিতীয় কোন কথা নেই আর কথার কোন সুযোগও নাই।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে যদি দলীয় প্রার্থী না দেওয়া হয় তাহলে দলগতভাবে জোটভুক্ত হয়ে যে প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব। এবং দলীয় যে নির্দেশনা দিবে তা আমরা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও বদ্ধপরিকর।
আর নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে যেটা আমার দল ও তারেক রহমান দিবে সেটাই আমার রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার এবং দলের প্রতিটি আমাদের দায়িত্ব সেটাই কাজ করতে হবে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা, ফতুল্লা, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।