মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি
Published: 5th, November 2025 GMT
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তার কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবদনের কিছু তথ্য ও কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।’
আরও পড়ুনবিধ্বস্ত হওয়া এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল: আইএসপিআর২১ জুলাই ২০২৫গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হন, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো.
ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা-সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন৩৬ বার অস্ত্রোপচার, ৮ বার স্কিন গ্রাফটিংয়ের ধকল সয়ে ৯৭ দিন পর বাড়ি ফিরল নাভিদ২৭ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত ম ইলস ট ন তদন ত র ঘটন প ইলট
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বিএনপির গণসংযোগে গুলিতে ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার নিহত
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেওয়া ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিতে নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। গণসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। পুলিশ সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়।
এর আগে বিকেলে নগরের চালিতাতলী এলাকায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন সরোয়ার। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরোয়ার ও শান্ত নামের তিনজন গুলিতে আহত হন। তাঁদের মধ্যে সরোয়ারের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, গুলিতে আহত সরোয়ার মারা গেছেন।
এর আগে গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সরোয়ার। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে সরোয়ারকে গুলি করা হয়।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। একসময় সরোয়ার হোসেনও তাঁর অনুসারী ছিলেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরোয়ার তাঁদের কাছ থেকে সরে যান।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনী জনসংযোগে গুলিবিদ্ধ৫৮ মিনিট আগে২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে সন্ত্রাসী হামলায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটজন নিহত হন। সে ঘটনায় করা মামলায় সাজ্জাদ আলী (বড় সাজ্জাদ) সাজাপ্রাপ্ত হলেও পরে উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান। এরপর তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থামাননি। বিদেশ থেকে তাঁর বাহিনীর মাধ্যমে বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারীতে অপরাধ পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন সাজ্জাদ হোসেন (ছোট সাজ্জাদ)।
সরোয়ার এক মাস আগে বিয়ে করেন। তাঁর বিয়েতে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।
আরও পড়ুনকোন আসনে বিএনপির প্রার্থী কে, দেখে নিন০৩ নভেম্বর ২০২৫জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির প্রার্থী গণসংযোগ করার সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। সরোয়ার সেখানে অংশ নিলে সন্ত্রাসী দুটি দলের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে গুলি করা হয়।
এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, এরশাদ উল্লাহ আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাঁর পেটে ছররা গুলি লাগে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৬টিতে বাকি, মহাসড়ক অবরোধ০৩ নভেম্বর ২০২৫