বিপুল সংগ্রহ ব্যবহার করতে পারবেন সাংবাদিক ও গবেষকেরা
Published: 5th, November 2025 GMT
জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রাপ্তি। মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রামাণ্য নিদর্শন সংগৃহীত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। সাংবাদিক ও গবেষকেরা তাঁদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা গবেষণার প্রয়োজনে এসব নিদর্শন ও তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
বুধবার সকালে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও গবেষকদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় জাদুঘরের ট্রাস্টিরা এ বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রথমেই সাংবাদিকদের জাদুঘরের গ্যালারিগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর জাদুঘরের পাঠাগার ও আর্কাইভে সংরক্ষিত নিদর্শন ও তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে জানানো হয়।
জাদুঘরের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় দুটি করে চারটি গ্যালারিতে দর্শনার্থীদের জন্য নিদর্শন প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রথম গ্যালারির নাম ‘প্রাচীন ও মধ্যযুগের সমন্বিত সংস্কৃতি’। এখানে প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন নিদর্শন রাখা হয়েছে। ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ত্যাগ’ নামের দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটনাবলির নিদর্শন। তৃতীয় গ্যালারির নাম ‘জয় বাংলার যাত্রা’। এতে আছে এপ্রিলের পরের ঘটনাবলি। শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, রণাঙ্গনে যুদ্ধ ইত্যাদি। শেষ গ্যালারির নাম ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ’। এতে আছে সর্বাত্মক যুদ্ধ, নারী নির্যাতন, বুদ্ধিজীবী হত্যা, বিদেশে প্রচার এবং চূড়ান্ত বিজয়।
গ্যালারি পরিদর্শনের পরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, গবেষণা ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপক রেজিনা বেগম, আর্কাইভের কিউরেটর আমেনা খাতুন, শিক্ষা ও প্রকাশনা ব্যবস্থাপক সত্যজিৎ রায় জাদুঘরের সংগ্রহ সম্পর্কে জানান। পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব বই বিষয় ভিত্তিতে সাজানো রয়েছে।
পাঠাগারে আছে ১৯৭১ সালে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রের বিপুল পরিমাণ কাটিং। শরণার্থীদের নিয়ে চার খণ্ডে ইউএনএইচসিআরের দলিলপত্র। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে মার্কিন কূটনীতিকেরা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যেসব বার্তা আদান–প্রদান করেছিলেন তা আছে তিন খণ্ডে। ব্রিটিশ কূটনীতিকদের অনুরূপ বার্তা আছে ৫০ খণ্ডে। রাজাকার ও দালাল সম্পর্কে সরকারি গেজেটের ৬ খণ্ড, পাকিস্তানের ডেইলি ডন এবং পাকিস্তান টাইমস পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করা ৪৯ হাজার ২৩৯ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীর নাম–পদবি প্রভৃতি। বিভিন্ন ব্যক্তির দেওয়া আরও অনেক মূল্যবান নিদর্শন রয়েছে পাঠাগারে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঘুরে দেখছেন এক দর্শনার্থী। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ক ত য দ ধ জ দ ঘর জ দ ঘর র ব যবস থ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিপুল সংগ্রহ ব্যবহার করতে পারবেন সাংবাদিক ও গবেষকেরা
জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রাপ্তি। মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রামাণ্য নিদর্শন সংগৃহীত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। সাংবাদিক ও গবেষকেরা তাঁদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা গবেষণার প্রয়োজনে এসব নিদর্শন ও তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
বুধবার সকালে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও গবেষকদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় জাদুঘরের ট্রাস্টিরা এ বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রথমেই সাংবাদিকদের জাদুঘরের গ্যালারিগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর জাদুঘরের পাঠাগার ও আর্কাইভে সংরক্ষিত নিদর্শন ও তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে জানানো হয়।
জাদুঘরের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় দুটি করে চারটি গ্যালারিতে দর্শনার্থীদের জন্য নিদর্শন প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রথম গ্যালারির নাম ‘প্রাচীন ও মধ্যযুগের সমন্বিত সংস্কৃতি’। এখানে প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন নিদর্শন রাখা হয়েছে। ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ত্যাগ’ নামের দ্বিতীয় গ্যালারিতে আছে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটনাবলির নিদর্শন। তৃতীয় গ্যালারির নাম ‘জয় বাংলার যাত্রা’। এতে আছে এপ্রিলের পরের ঘটনাবলি। শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, রণাঙ্গনে যুদ্ধ ইত্যাদি। শেষ গ্যালারির নাম ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ’। এতে আছে সর্বাত্মক যুদ্ধ, নারী নির্যাতন, বুদ্ধিজীবী হত্যা, বিদেশে প্রচার এবং চূড়ান্ত বিজয়।
গ্যালারি পরিদর্শনের পরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, গবেষণা ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপক রেজিনা বেগম, আর্কাইভের কিউরেটর আমেনা খাতুন, শিক্ষা ও প্রকাশনা ব্যবস্থাপক সত্যজিৎ রায় জাদুঘরের সংগ্রহ সম্পর্কে জানান। পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব বই বিষয় ভিত্তিতে সাজানো রয়েছে।
পাঠাগারে আছে ১৯৭১ সালে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রের বিপুল পরিমাণ কাটিং। শরণার্থীদের নিয়ে চার খণ্ডে ইউএনএইচসিআরের দলিলপত্র। মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে মার্কিন কূটনীতিকেরা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যেসব বার্তা আদান–প্রদান করেছিলেন তা আছে তিন খণ্ডে। ব্রিটিশ কূটনীতিকদের অনুরূপ বার্তা আছে ৫০ খণ্ডে। রাজাকার ও দালাল সম্পর্কে সরকারি গেজেটের ৬ খণ্ড, পাকিস্তানের ডেইলি ডন এবং পাকিস্তান টাইমস পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করা ৪৯ হাজার ২৩৯ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীর নাম–পদবি প্রভৃতি। বিভিন্ন ব্যক্তির দেওয়া আরও অনেক মূল্যবান নিদর্শন রয়েছে পাঠাগারে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঘুরে দেখছেন এক দর্শনার্থী। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে