সোনারগাঁয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর টিটিরবাড়ি বাজার এলাকায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে সরকারি ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) চালের বস্তা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে এক ব্যক্তি বাজারের পাশে রাস্তায় চালের একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে তা রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখেন। পরদিন বুধবার সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের আধারে সরকারি চাল পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে বস্তাটি পড়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “রাত প্রায় ১২টার দিকে একটা ট্রাক ওই রাস্তায় যেতে দেখি। পরে সকালে শুনি সরকারি চালের বস্তা পড়ে ছিল। এগুলো কীভাবে পড়ল, সেটা কেউ জানে না।”

আরেকজন পথচারী বলেন, “ওএমএসের চাল নিয়ে অনেক অনিয়মের কথা শোনা যায়। যদি এসব বস্তা সত্যিই সরকারি হয়, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করা দরকার।”

স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি মন্তব্য করেন, “সরকারের চাল তো গরিব মানুষের জন্য। কিন্তু মাঝেমধ্যে এই চাল বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। এসব বন্ধ করা জরুরি।”

উল্লেখ্য, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে ওএমএসের ডিলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সেলিম ভূইয়া। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত জুন মাসে তিনি অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এই ডিলারশিপ পান।

যোগাযোগ করা হলে সেলিম ভূইয়া বলেন, “চালের বস্তা পড়ে থাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার দোকানের কর্মীরা নিয়ম মেনে চাল বিক্রি করছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।”

এ ঘটনায় এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি ওএমএস পণ্য পরিবহনে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম বা অবহেলা আর না ঘটে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ চ ল র বস ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে রাস্তায় পড়ে রইল সরকারি ওএমএস চালের বস্তা, চাঞ্চল্য

সোনারগাঁয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর টিটিরবাড়ি বাজার এলাকায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে সরকারি ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) চালের বস্তা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে এক ব্যক্তি বাজারের পাশে রাস্তায় চালের একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে তা রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখেন। পরদিন বুধবার সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের আধারে সরকারি চাল পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে বস্তাটি পড়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “রাত প্রায় ১২টার দিকে একটা ট্রাক ওই রাস্তায় যেতে দেখি। পরে সকালে শুনি সরকারি চালের বস্তা পড়ে ছিল। এগুলো কীভাবে পড়ল, সেটা কেউ জানে না।”

আরেকজন পথচারী বলেন, “ওএমএসের চাল নিয়ে অনেক অনিয়মের কথা শোনা যায়। যদি এসব বস্তা সত্যিই সরকারি হয়, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করা দরকার।”

স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি মন্তব্য করেন, “সরকারের চাল তো গরিব মানুষের জন্য। কিন্তু মাঝেমধ্যে এই চাল বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। এসব বন্ধ করা জরুরি।”

উল্লেখ্য, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে ওএমএসের ডিলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সেলিম ভূইয়া। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত জুন মাসে তিনি অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এই ডিলারশিপ পান।

যোগাযোগ করা হলে সেলিম ভূইয়া বলেন, “চালের বস্তা পড়ে থাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার দোকানের কর্মীরা নিয়ম মেনে চাল বিক্রি করছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।”

এ ঘটনায় এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি ওএমএস পণ্য পরিবহনে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম বা অবহেলা আর না ঘটে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ