চট্টগ্রাম-৮ আসনে গণসংযোগের সময় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সারোয়ার বাবলাসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আহত এরশাদ উল্লাহকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি দুজনকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম নগরে সংসদীয় আসন আছে চারটি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বায়েজিদ (আংশিক) আসনে সোমবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।

এদিকে আজ সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ’র ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো.

জসিম উদ্দিন জানান, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করেছে। এতে এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনি বলেন, কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরশাদ উল্লাহকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে হামজারবাগ এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। এ সময় কে বা কারা তাকে গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন, ফলে বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গত সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণস য গ ব এনপ গ ল ব দ ধ হয় ছ ন ব এনপ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচন: ৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলকে পাবনা ৪ ও ঢাকা ১০ আসনের প্রার্থী করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানুষ ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করবে: টুকু

মাদারীপুরে খোকন তালুকদারের মনোনয়ন, বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুলে দলের প্রধান কার্যালয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা, নতুন কমিটির পরিচিত ও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ নিয়ে আয়োজিতক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “বৃহত্তর স্বার্থে উদার ও মধ্যপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোটের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তা সফল হলে প্রার্থী তালিকা সমন্বয় করা হবে। ৩০০ আসন থেকে ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ প্রার্থী দিবে। উদার মধ্যপন্থি দলগুলোর সঙ্গে জোটের বিষয়ে আলোচনা করছে। সফল হলে প্রার্থী তালিকা সমন্বয় করা হবে। নির্বাচনে জামানত বাড়ানোকে অগণতান্ত্রিক মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। কোনো দল যদি চায় অন্যের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার, সেটি রাখা উচিত। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্যে আসা দরকার।”

এছাড়াও একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন চাওয়ার কথাও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ৭ সদস্যের রাজনৈতিক পরিষদ গঠন করা হয়। এতে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। এছাড়াও ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দল হিসেবে ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাবেশ ও মাথাল র‍্যালি করার ঘোষণাও দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়-
১. ব্রাহ্মণবাড়ি-৬: জোনায়েদ সাকি
২. পাবনা-৪ ও ঢাকা-১০: আবুল হাসান রুবেল
৩. ঢাকা-১২: তাসলিমা আখতার
৪. চট্টগ্রাম-৯: হাসান মারুফ রুমী
৫. বরিশাল-৫: দেওয়ান আব্দুর রশীদ নীলু
৬. নারায়ণগঞ্জ-৫: তরিকুল সুজন
৭. ঢাকা-৭: মনির উদ্দীন পাপ্পু
৮. ঢাকা-৩: বাচ্চু ভূঁইয়া
৯. পাবনা-২: জুলহাসনাইন বাবু
১০. রাজশাহী-২: অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ।

১১. লালমনিরহাট-২ ও ৩: দীপক কুমার রায়
১২. টাঙ্গাইল-৬: আলিফ দেওয়ান
১৩. নাটোর-১: সেন্টু আলী
১৪. ময়মনসিংহ-১০: একেএম শামসুল আলম
১৫. রংপুর-২: মোফাখখারুল ইসলাম মুন
১৬. রংপুর-৩: তৌহিদুর রহমান
১৭. মৌলভীবাজার-৪: সৈয়দ সাইফুল ইসলাম
১৮. ময়মনসিংহ-৪: মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব
১৯. নওগাঁ-৫: তোসাদ্দেক হোসাইন (সৈকত আরিফ)
২০. চট্টগ্রাম-৪: জাহিদুল আলম আল-জাহিদ।

২১. চট্টগ্রাম-৬: নাসির উদ্দীন তালুকদার
২২. ঠাকুরগাঁও-২: আশরাফুল ইসলাম
২৩. ঢাকা-১: মিজানুর রহমান
২৪. খুলনা-২: মুনীর চৌধুরী সোহেল
২৫. রাজশাহী-৩: জুয়েল রানা
২৬. চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: নুরুদ্দীন
২৭. খুলনা-১: অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন
২৮. ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: নাহিদা শাহান
২৯. পিরোজপুর-৩: অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম
৩০. ঢাকা-১৯: তানভীর আহমেদ।

৩১. পঞ্চগড়-১: সাজেদুর রহমান সাজু
৩২. চট্টগ্রাম-৩: তাহসিন মাহমুদ
৩৩. ঢাকা-১৩: মনিরুল হুদা বাবন
৩৪. ঢাকা-২: আব্দুল জলিল
৩৫. চট্টগ্রাম-১১: সৈয়দ সালাহউদ্দীন শিমুল
৩৬. খুলনা-১: আল-আমিন শেখ
৩৭. লক্ষ্মীপুর-২: হাসান আল-মেহেদী
৩৮. কক্সবাজার-১: আরমানুল হক
৩৯. নারায়ণগঞ্জ-১: নাজমা বেগম
৪০. নারায়ণগঞ্জ-৪: জাহিদ সুজন।

৪১. টাঙ্গাইল-৫: ফাতেমা রহমান বিথি
৪২. রাজশাহী-২: জিন্নাত আরা সুমু
৪৩. বরিশাল-১: সাকিবুল ইসলাম
৪৪. নীলফামারী-১: মহব্বত হোসেন মিলন
৪৫. ঢাকা-৮: রুবেল মিয়া (হিমু ভাই)
৪৬. নারায়ণগঞ্জ-৩: অঞ্জন দাস
৪৭. ঢাকা-৫: ময়েজ উদ্দীন
৪৮: কুষ্টিয়া-৩: এসএম ওয়াশিফ ফায়সাল
৪৯. নওগাঁ-৪: মোফাখখারুল ইসলাম মানিক
৫০. গাজীপুর-৬: আবু সাকের মোহাম্মদ জাকারিয়া।

৫১. বগুড়া-৪: আব্দুর রশীদ
৫২. জয়পুরহাট-২: আরিফুল ইসলাম
৫৩. দিনাজপুর-৫: সুলতান মাহমুদ শিশির
৫৪. গাইবান্ধা-১: গোলাম মোস্তফা
৫৫. নাটোর-৪: তাহমিদা ইসলাম তানিয়া
৫৬. দিনাজপুর-৪: দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়
৫৭. কুড়িগ্রাম-১: সাইফুর রহমান দুলাল
৫৮. কুড়িগ্রাম-২: রুস্তম আলী
৫৯. শরীয়তপুর-৩: বেলায়েত শিকদার
৬০. পাবনা-৫: আজহারুল ইসলাম।

৬১. গাজীপুর-২: আমজাদ হোসেন
৬২. গাজীপুর-৩: অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ
৬৩. ঢাকা-১৪: এফএম নুরুল ইসলাম
৬৪. নীলফামারী-৩: প্রদীপ রায়
৬৫. মুন্সীগঞ্জ-৩: ইলিয়াস জামান
৬৬. ঢাকা-১৫: মাহবুব রতন
৬৭. কুমিল্লা-৬: ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন
৬৮. মুন্সীগঞ্জ-২: বিপ্লব খান
৬৯. ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: আবু রায়হান খান
৭০. ঢাকা-১৬: সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন।

৭১. পটুয়াখালী-২: আমজাদ হোসেন
৭২. মৌলভীবাজার-৩: জুনেদ আহমেদ
৭৩. সাতক্ষীরা-৪: আলতাফ হোসেন
৭৪. ঝিনাইদহ-১: নজরুল ইসলাম
৭৫. ফেনী-২: কায়কোবাদ সাগর
৭৬. কুমিল্লা-৯: জহির রায়হান সাগর
৭৭. বান্দরবান-১: অ্যাডভোকেট রিপন চক্রবর্তী
৭৮. ঢাকা-৮: সেলিমুজ্জামান
৭৯. ফেনী-২: রিপন
৮০. চট্টগ্রাম-১০: অপূর্ব নাথ।

৮১. জামালপুর-৬: কেরামত আলী
৮২. ঢাকা-৬: আবু বক্কর রিপন
৮৩. মানিকগঞ্জ-৩: অধ্যাপক আব্দুল কাদের
৮৪. ময়মনসিংহ-১১: খালেদ হোসাইন
৮৫. গাজীপুর-৪: জাহাঙ্গীর আলম পালোয়ান
৮৬. মাদারীপুর-২: রফিকুল ইসলাম রাসেল
৮৭. ঝালকাঠি-২: আবদুল কাদের খান
৮৮. রংপুর-৪: আব্দুল কাদের
৮৯. ময়মনসিংহ-৫: নজরুল ইসলাম সরকার
৯০. কিশোরগঞ্জ-৫: আল-আমীন রহমান
৯১. গাজীপুর-৫: লোকমান হোসেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ