কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
Published: 5th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিকের অনুসারীরা। বুধবার বিকেলে কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে কুষ্টিয়া-৪ আসনে মনোনয়ন পান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক।
আজ সড়ক অবরোধের আগে বিকেল পাঁচটার দিকে কুমারখালী হলবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন আনসার প্রামাণিকের অনুসারী ও সমর্থকেরা। কুমারখালী-খোকসা তৃণমূল বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ। এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম, চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী মোমেনুল হক, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আলী নেওয়াজ বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কুষ্টিয়া-৪ আসন সম্পর্কে জানাতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। জাতীয় নির্বাচনে খোকসা-কুমারখালী আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমিকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ১৭ বছর তিনি মাঠে ছিলেন না। মানুষের কাছে মেহেদী আহমেদ একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা। ৫ আগস্টের পর তিনি হঠাৎ উদয় হয়ে কোন কারিশমায় মনোনয়ন পেলেন, তাঁদের জানা নেই। তবে গত ১৭ বছরে কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা নিয়ে দলীয় নেতা কর্মী ও মানুষের উপকার করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোটের সমীকরণে কুমারখালীতে ২ লাখ ৯৮ হাজার ভোট এবং খোকসায় ১ লাখ ১৫ হাজার ভোট। কুমারখালীতে দ্বিগুণের বেশি ভোট থাকা সত্ত্বেও কুমারখালী উপজেলাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতি লক্ষ না রেখে প্রতিবারই খোকসা থেকে (মেহেদীর গ্রামের বাড়ি) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে এ আসনে বিএনপিকে জয়লাভ করানো সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম বলেন, জনগণের আশা ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা মূল্যায়ন না করে মেহেদী রুমীকে মনোনয়ন দেওয়ায় সবাই ক্ষুব্ধ। মনোনয়ন পরিবর্তন করে আনছার প্রামাণিককে মনোনয়ন না দিলে এখানে বিএনপির ভরাডুবির শঙ্কা আছে। সে জন্য ৩ নভেম্বর মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কুমারখালী হলবাজার, গণমোড়, থানা মোড়, স্টেশন বাজার প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। এতে সাময়িকভাবে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আনছ র প র ম ণ ক র ল ইসল ম উপজ ল আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার তিন সংবাদকর্মী
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত