Prothomalo:
2025-06-22@07:56:25 GMT

উত্তাল এক রাত

Published: 22nd, June 2025 GMT

গোসল সেরে বিছানায় শুয়েছেন মাত্র, তখনই ফোনটা বেজে উঠল। হাতে হ্যামলেট অর্ধেক খোলা: ‘ডেনমার্কের মাটিতে কিছু পচে যাচ্ছে...’ বইটা বন্ধ করে তিনি ফোনের রিসিভার তুললেন, ‘কোথায়? রেভল্যুশন স্কয়ার? ঠিক আছে।’

ফোন কেটে গেল। তিনি রিসিভার রেখে দিলেন। ঠোঁটে একচিলতে হাসি। দুই মাস হলো তাকে চেনেন। মুখটা রোদে পোড়া। চোখ দুটি যেন কালো কাচের গোলক, ঝকঝকে। দক্ষিণের মানুষ। খোররম শহরে তাঁর ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, আর কিছুই নেই। না স্ত্রী, না সন্তান। তেহরানে এসে একটা পেয়কান গাড়ি কিনেছেন। তা–ই নিয়ে কাজ করেন। রাস্তার ধারে ট্যাক্সির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে লোকটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।

এ পরিচয় তাঁর জন্য ছিল একটা ঘটনা। বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পেরিয়ে গেছে। সুতরাং একটা সুখের ঘটনা.

..

লোকটাকে এবার তিনি বাড়িতে আনতে চাইলেন। রাতের শিফট অন্য এক নার্সের হাতে তুলে দিলেন, যাতে রাতটা নিজের মতো থাকতে পারেন। এমন একজনকে চেনার জন্য তিন মাস মোটেও কম নয়, যিনি সব সময় পাশে বসে চুপচাপ শান্তভাবে কথা শোনেন। গোরস্থানে গোরস্থানে ঘুরে বেড়ানোর আর মানে হয় না। বাড়িতে বসে কফি খেলে, কথা বললে কী দোষ...

লোকটা সব গোরস্থান চেনেন, সব রাস্তা। প্রথমবার যখন বসার জায়গা খুঁজতে হচ্ছিল, তখন তাকে সোজা নিয়ে গিলেন বেহেশত-ই-জাহরায়।

‘বেহেশত-ই-জাহরা?’

‘ওখানে কেউ কিছু বুঝবে না।’

একটা কবরের পাশে বসে তাঁরা কথা বললেন। কেউ এসে জিজ্ঞেস করেনি, আপনাদের সম্পর্ক কী?

তাঁকে সব সময় কালো পোশাক পরতে হয়। চৌকো চাদরটা ব্যাগে গুঁজে রাখেন। কারণ, কোথায় বসতে যাবেন, সেটা তাঁর জানা। বেহেশত-ই-জাহরায় কেউ কাউকে নজরে রাখে না। জোড়ায় জোড়ায় মানুষ এখানে-সেখানে বসে থাকে। তাঁরা কবরের পাথরের পাশে বসেন। পাথরের লেখা পড়েন। মৃত ব্যক্তি নিয়ে কথা বলেন। ক্লান্ত হলে হাঁটা শুরু করেন। বেহেশত-ই-জাহরার বড় গেটের সামনে ফেরিওয়ালাদের থেকে কেনাকাটা করেন। কেনা পেঁয়াজ আর আলু গাড়ির পেছনের কাচের পাশে রাখেন, যাতে সবাই দেখে। ফেরিওয়ালা বলে, ‘আর কখনো এসো না। এটাই তোমাদের শেষ দুঃখ হোক।’

তাঁর আর কালো চাদরের কিনারা মুখের ওপর টেনে শোকার্ত হওয়ার ভান করতে ভালো লাগছে না। তাঁকে এবার নিজের বাড়িতে নিয়ে আসবেন। আজ রাতে অনেকক্ষণ বসে কথা বলতে পারবেন। শুধু একটু দেরি করে বাড়ি ফিরতে হবে। পড়শিরা না আবার দেখে ফেলে।

তিনি উঠে পোশাকের আলমারির সামনে দাঁড়ালেন। কোনটা পরব? কোন রং তাঁর পছন্দ হবে? হাত কোমরে রেখে এক চক্কর ঘুরলেন। রং নিয়ে তো কখনো কথা হয়নি। লোকটার রুচি জানা নেই। নিজের রুচিই ভরসা। লেবু-হলুদ পোশাক, সরু সবুজ পাতার নকশা। আলমারি থেকে সেটাই বের করলেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সামনে মেলে হাসলেন। আজ তোমাকেই পরব...তোমাকে...

গায়ে দিয়ে এদিক-সেদিক ছুটলেন, ঘুরলেন, আয়নায় দেখলেন। হঠাৎ মুখে একটা দুশ্চিন্তার রেখা ছড়িয়ে পড়ল। যদি দুর্ঘটনা ঘটে? হঠাৎ ডাক পেয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয়। আর সহকর্মীরা দেখে কালো মান্তোর নিচে লেবু-হলুদ পোশাক, সরু সবুজ ফুলের নকশা। লোকটা বলেছিলেন, বুদ্ধিমতী নারীরা সব সময় কালো পরে। তাহলে কেউ কিছু টের পায় না...

না, তিনি পোশাক বদলাবেন না। যা-ই হোক, এটাই পরবেন। কালো মান্তো আর ফুলেল চাদর। হ্যাঁ, ফুলেল। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, তাঁর ছোট ছেলের খতনার উৎসব, কিছু কিনতে যাচ্ছেন। তিনি আবার আয়নায় হাসলেন। ফুলেল চাদর মাথায় দিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।

বাইরে ঠান্ডা হাওয়ার দাপট। ট্যাক্সি থেকে নামতেই লোকটাকে দেখলেন। দাঁড়িয়ে ডানে-বাঁয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাচ্ছেন। লোকটা চারপাশে নজর বুলিয়ে মৃদু হাসলেন। তেলমাখা হাত দুটো দেখালেন, ‘গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে। মেরামতের দোকানে দিয়েছি।’

‘বেশ তো।’

লোকটা বিভ্রান্ত, ‘অন্য কোনো দিন ঘুরতে যাবে?’

তারপর ফুলেল চাদরটা দেখলেন। নিচু, বিস্মিত, দমবন্ধ গলায় বললেন, ‘এটা কী?’

তিনি হাসলেন, ‘বেহেশত-ই-জাহরায় তো যাচ্ছি না।’

‘তাহলে কোথায়?’

‘আমার বাড়িতে।’

লোকটা ঢোঁক গিললেন, ‘তোমার বাড়িতে?’

হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ।’

লোকটা দ্বিধান্বিত।

‘বাইরে ঠান্ডা, হাঁটা যাবে না। বেহেশত-ই-জাহরা এখান থেকে আরও ১০ ডিগ্রি ঠান্ডা।’

তিনি সরাসরি লোকটার চোখের দিকে তাকালেন না। যদি তাঁর চোখের আনন্দ দেখে ফেলেন! রাস্তার ওপারে পুলিশের গাড়ি যাচ্ছে। মহিলারা তাড়াহুড়ো করে চাদর কপালে টেনে দিচ্ছেন।

ছটা বাজল। বাতাসে ঠান্ডার দংশন। তাঁরা ট্যাক্সির সামনে বসলেন। ড্রাইভার রেডিও চালিয়ে দিল। পেছনে তিনজন যাত্রী চুপচাপ। কাচের ওপারে তেহরান ঠান্ডায় কুঁকড়ে আছে। হাইওয়ে ফাঁকা। রেডিওতে বিপ্লবী গান বাজছে, ‘ইরান ও বীরদের আস্তানা…’

ড্রাইভার হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে রেডিওর নব ঘুরিয়ে বললেন, ‘আজ রাতে হামলা হবে মনে হয়।’

পেছন থেকে একটা গলা বলল, ‘কাল রাতে তো হয়নি।’

ড্রাইভার বললেন, ‘বলছে শহর খালি করতে।’

সবাই চুপচাপ। এরই মধ্যে তাঁর ভাবনা হলো, একটা রেস্তোরাঁ খুঁজতে হবে। ভিড় করা রেস্তোরাঁ, যেখানে রাতের খাবারের জন্য দেরি হবে। তারপর কেউ যেন না দেখে, এমন সময়ে বাড়ি ফেরা যাবে।

রেস্তোরাঁয় ঢুকে লোকটা একেবারে চুপ। কোনো রকমে খাবারটা গিলল। ঘড়ি দেখছে বারবার। মাত্র এক ঘণ্টা কেটেছে। সাতটা বাজে, কিন্তু বাইরে এত অন্ধকার, মনে হয় গভীর রাত। ওয়েটার আসছে-যাচ্ছে। ব্যাগ খুলে যেই টেবিলে বিলের দিকে তাকালেন, লোকটা বললেন, ‘অসভ্যতা হবে, ওরা বুঝে ফেলবে।’

তিনি অবাক হলেন। লোকটা তাঁকে বোঝালেন, ‘বুঝবে যে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি মাথা নেড়ে হেসে বললেন, ‘ওহ।’

বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাড়ি বেশি দূরে নয়। লোকটা দ্বিধান্বিত পায়ে হাঁটছেন, যেন নিজের সঙ্গে লড়াই করছেন। গুনগুন করে গান ধরলেন, কোথাও থেকে মনে পড়া একটা গান, ‘উৎসব আর কবিতার রাত...’

রেস্তোরাঁর সামনের পার্কের শেষে পৌঁছানোর আগে লোকটা আস্তে বললেন, ‘আমি না গেলেই ভালো, কী বলো?’

তিনি কনুই দিয়ে লোকটার পাঁজরে খোঁচা দিয়ে হাসলেন। দুজনেই চুপচাপ কমপ্লেক্সের পার্কিংয়ের দরজার দিকে এগোলেন। কমপ্লেক্সটা সুন্দর। জানালায় টোরি পর্দা, চারতলা। তিনি চার মাস ধরে এখানে থাকছেন। আজ রাতে এই চার দেয়ালে প্রথম সুখের স্মৃতি তৈরি হবে।

খোশমেজাজে নির্ভাবনায় তিনি বললেন, ‘আমি পার্কিংয়ের দরজা দিয়ে যাব, তুমি কাচের দরজা দিয়ে।’

লোকটা আস্তে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কাচের দরজা কোথায়?’

তাঁর গলাও নিচু হলো, ‘ওই পেছনে, দেখিয়ে দিচ্ছি।’

তিনি কমপ্লেক্সের ডান দিকে মোড় নিলেন। লোকটা দ্বিধাগ্রস্তভাবে তাঁর পিছু নিলেন। কাচের দরজার সামনে লোকটা আড়ষ্ট হয়ে পথের দিকে তাকাচ্ছেন।

তিনি বললেন, ‘যাও এবার...’

লোকটা ঢোঁক গিললেন, ‘তুমি বলছ, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে...?’

তাঁর গলা দমে গেল, ‘তিন-চারটা সিঁড়ি বেশি তো নয়। তুমি উঠে এক মিনিট অপেক্ষা করবে, আমি ততক্ষণে পার্কিংয়ের দরজায় পৌঁছে যাব। তারপর কাচের দরজাটা ঠেলবে...’

‘মানে, এমন দরজা নয়, যেটা নিজে নিজে খোলে?’

তিনি আস্তে হাসলেন, ‘এটা তো বিমানবন্দর না। দরজা হাতে ঠেলতে হবে...’

লোকটা হতাশায় মাথা নাড়লেন, ‘আচ্ছা... ঠিক আছে।’

তিনি আস্তে করে ‘শুভকামনা’ বলে আধচক্কর ঘুরে পার্কিংয়ের দরজার দিকে পা বাড়ালেন।

পার্কিংয়ের প্রবেশপথ ফাঁকা। কমপ্লেক্সের টেলিফোনিস্ট ফোন হাতে কারও সঙ্গে কথা বলছে। নিজেকে দেখাতে হবে, যাতে রিসেপশনিস্ট আর অন্যরা জানে তিনি একা। কাচের কেবিনে একটা টোকা দিয়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু যদি বকবক শুরু করে? লোকটা তাহলে চারতলায় দরজার পেছনে আটকে থাকবেন, হয়তো সিঁড়ি দুটো-একটা করে নেমে চলে যাবেন। তাকানোর ফুরসত না করে তিনি দ্রুত কেবিনের সামনে দিয়ে গেলেন, পার্কিংয়ের মাঠ প্রায় দৌড়ে পার হলেন।

প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার আগেই বিমান-বিধ্বংসী কামান গর্জে উঠল। বিল্ডিংয়ে সাইরেনের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ল। লাল সংকেত। অ্যাপার্টমেন্টের দরজা দ্রুত একের পর এক খুলছে। পুরুষ, মহিলা, শিশু—আতঙ্কে ছুটছে সিঁড়ি বেয়ে।

চারতলায় পৌঁছাতে গিয়ে তাঁর হাঁপ ধরে গেল। লোকটা বন্ধ দরজার পেছনে দাঁড়ানো। পাশের প্রতিবেশী চাদর ঠিক করতে করতে শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে সিঁড়ির দিকে দৌড় দিলেন।

তিনি কোনোরকমে চাবি তালায় ঘোরালেন। হাত কাঁপছে। লোকটা কুঁজো হয়ে ভয়ে ভয়ে সিঁড়ির নিচে তাকাচ্ছেন। বিমান–বিধ্বংসী কামানগুলো তখনো গর্জন করছে।

তিনি দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলেন। আস্তে বললেন, ‘এসো।’ লোকটা কুঁজো হয়ে হলঘরে ঢুকলেন।

দরজা বন্ধ করার সময় মনে পড়ল, চাবি তালার সঙ্গে রয়ে গেছে। আস্তে দরজা খুলে চাবি বের করে নিলেন। সিঁড়িঘরে কেউ ছিল না।

আবার নীরবতা ছড়িয়ে পড়ল। ঘরে অপ্রত্যাশিত নীরবতা। এবার বিমান–বিধ্বংসী কামানগুলো যেন দেয়ালের পাশেই গর্জাচ্ছে। তিনি আর লোকটা দূরত্ব বজায় রেখে সোফায় বসে অপেক্ষা করছেন। কামানের আঘাতে মনে হচ্ছে, যেখানে লাগার কিছুতেই লাগছে না, তাই শব্দ থামছে না।

দূরে একটা বোমার শব্দে মনে হলো একটা পাড়া ধ্বংস হয়েছে। তিনি লম্বা নিশ্বাস নিলেন। রেডিও খুঁজতে লাইটার জ্বাললেন। উপস্থাপক নির্বিকার গলায় বলছেন, ‘আশ্রয়শিবিরে যান...শান্ত থাকুন...গ্যাসের লাইন বন্ধ করুন, জানালার কাছ থেকে সরে থাকুন।’

তিনি নখ কামড়াচ্ছিলেন। লোকটা বললেন, ‘আওয়াজ কমাও, বুঝে ফেলবে।’

তিনি রেডিওর নব ঘোরালেন। সামান্য শব্দ হলো, খুবই সামান্য।

দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি এত কাছে শোনা গেল, তার মনে হলো বাড়ির ছাদ মাথায় ভেঙে পড়ছে। দুই হাতে মাথা চেপে ধরলেন। জানালার কাচ ফেটে গেল।

‘চলো, আশ্রয়শিবিরে যাই...’

তাঁর গলা কাঁপছিল। লোকটা বললেন, ‘বুঝে ফেলবে, ভালো হবে না।’

তিনি ঢোঁক গিললেন। মাথাটা টনটন করছে। সেকেন্ডগুলো ধীরে কাটছে। রেডিও সংগীত বাজাচ্ছে। আওয়াজ বেশি। কেউ নব ঘুরিয়েছে।

তৃতীয় বোমাটা অনেক দূরে কোথাও আঘাত করল। তিনি হাসলেন। রেডিওটা এবার সংগীত থামিয়ে জানাল, ‘এই মুহূর্তে যে শব্দ শুনছেন, তা সাদা সাইরেন। এর অর্থ, বিমান হামলা শেষ...’

‘শেষ?’ দুজনেই লম্বা নিশ্বাস ফেললেন। তিনি বললেন, ‘ভালোই গেল।’

প্রতিবেশীদের পায়ের শব্দ আসছে। আশ্রয়শিবির থেকে বেরিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দে সিঁড়িঘরে জোরে জোরে কথা বলছে। বাতি তখনো নেভানো।

তিনি অন্ধকারে হাতড়ে রান্নাঘরে গেলেন। লাইটার জ্বাললেন। কফির পাত্র খুঁজে পেলেন। লাইটারের শিখায় আঙুল পুড়ে গেল। আস্তে বললেন, ‘আহ...’

আবার লাইটার জ্বালালেন। পাত্রে পানি ভরলেন। আঙুলে আবার ছেঁকা লাগল। আবার জ্বালালেন। গ্যাস চালু করে পাত্র বসালেন।

অনেকক্ষণ লেগে গেল। সিঁড়িঘর ফাঁকা হলে বিদ্যুৎ ফিরল। তিনি দেখলেন, লাল আলো জ্বলা একটা বিমান-বিধ্বংসী কামান ঠিক জানালার পেছনে স্থাপন করা। লোকটাও বুঝেছিলেন। লাল আলো তার মুখে পড়েছিল। কাঁপা আঙুলে জানালা দেখালেন, কথা বলতে পারছেন না।

ঘরটা লাল। যেন কেউ নাইটল্যাম্প জ্বালিয়েছে। তিনি বললেন, ‘পর্দা টানব?’

লোকটা নড়লেন না। গলার গভীর থেকে গলা বেরিয়ে এল, ‘না, বুঝে ফেলবে।’

তিনি হতভম্ব হয়ে গেলেন। কফির পাত্র ফোঁসফোঁস করছে। তিনি রান্নাঘরে গেলেন। গ্যাস নিভে গেছে। পাত্রে কফি ঢাললেন না। হতাশ হয়ে পাত্র হাতে বেরিয়ে এলেন। লোকটা বললেন, ‘কিছু লাগবে না, কিছু না। বুঝে ফেলবে।’

তিনি পাত্র হাতে বসলেন। লাল আলোর দিকে তাকিয়ে রইলেন। লোকটা বললেন, ‘আমি বরং চলে যাই?’

তিনি ঢোঁক গিললেন, ‘এত রাতে? পথে কেউ জিজ্ঞেস করলে, কোথায় ছিলে, কী বলবে?’

লোকটা হতাশায় মাথা নাড়লেন। লুকিয়ে ঘড়ি দেখলেন। তিনি দেয়ালের লাল ঘড়ির দিকে তাকালেন। ৯টা বাজে। সকাল কখন হবে, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ জ ঞ স কর কমপ ল ক স ক চ র দরজ ল ইট র র জন য র স মন বলল ন দরজ র

এছাড়াও পড়ুন:

জিপিএইচ ইস্পাতের প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু বাতিল

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি। 

এর আগে কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবও বাতিল করা হয়।

রবিবার (২২ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল, যার অনুমোদন দেয়নি বিএসইসি।

এর আগে গত ২৭ মে জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব বাতিল করে দেয় বিএসইসি। 

এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানায়, দাখিলকৃত দলিলাদি সন্তোষজনক না হওয়ায় সার্বিক দিক বিবেচনায় জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট ইস্যুর প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।

এ কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১৬ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৫টি সাধারণ শেয়ার প্রতিটি ১৫ টাকা মূল্যে ১:৩ হারে রাইটস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ২৪১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৭৫ টাকা মূলধন সংগ্রহের আবেদন করেছিল।

ঢাকা/এনটি/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ