ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর এবার জয়ের লক্ষ্যে নামবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষ মেক্সিকান ক্লাব পাচুকা। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১টায়। এইচ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ভোর ৪টায় মুখোমুখি হবে গ্রুপের শীর্ষে থাকা সাল্জবুর্গ ও সৌদি ক্লাব আল হিলাল। এদিকে জি গ্রুপে শেষ ষোলো নিশ্চিত করার সুযোগ পাবে জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার সিটি। রাত ১০টায় মরোক্কান ক্লাব উইদাদ এসির বিপক্ষে খেলবে জুভেন্টাস। আর সোমবার ভোর ৭টায় আল আইনের মুখোমুখি হবে ম্যানসিটি।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্লাবগুলো এবার এক মঞ্চে। ক্লাব বিশ্বকাপে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। প্রত্যেক দলই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে প্রস্তুত। প্রথম ম্যাচে ড্র করে কিছুটা ব্যাকফুটে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। পাচুকার বিপক্ষে জয় ছাড়া উপায় নেই স্প্যানিশ জায়ান্টদের। তবে দলে অনুপস্থিত থাকছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি তারকার সুস্থ হয়ে উঠতে আরও সময় লাগবে বলে নিশ্চিত করেছেন রিয়ালের কোচ জাভি আলোনসো।

সংবাদ সম্মেলনে আলোনসো বলেন, ‘এমবাপ্পে এখনো পুরোপুরি ফিট নয়। সে হাসপাতাল থেকে ফিরেছে এবং রিকভারি সেশনে অংশ নিচ্ছে। আশা করি সাল্জবুর্গের বিপক্ষে তাকে পাব।’ এ সময় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ওপর আস্থার কথাও জানান তিনি, ‘ভিনির ফর্ম নিয়ে আমি চিন্তিত নই, তাকে কেবল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে হবে।’

এইচ গ্রুপে এখনো পয়েন্টশূন্য পাচুকাও জয়ের খোঁজে। তাই দুই দলের মুখোমুখি লড়াই হতে পারে হাইভোল্টেজ। এদিকে জি গ্রুপে জয়ের ধারায় আছে ম্যানসিটি। প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া সিটিজেনরা আজ আল আইনের বিপক্ষে জিততে পারলেই পৌঁছে যাবে শেষ ষোলোতে। বিপরীতে আল আইন তাদের প্রথম ম্যাচে জুভেন্টাসের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়। দুই দলের আগের একমাত্র দেখায়ও জয় পেয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প প রথম ম য চ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে বিক্ষোভে মেয়েদের ভিডিও করার সময় কলেজছাত্র আটক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ছবি প্রদর্শনের প্রতিবাদ চলাকালে মেয়েদের ভিডিও করার অভিযোগে এক কলেজছাত্রকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে সোপর্দ করা হয়। কবি নজরুল সরকারি কলেজের ওই শিক্ষার্থীকে আটকের সময় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। প্রক্টরের উপস্থিতিতে ওই কলেজছাত্রের মুঠোফোন ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি উসামা বিন লাদেনসহ কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তির পোস্ট শেয়ার করেছেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে ‘ইসলামী ছাত্রশিবির, চৌমুহনী কচুয়া’ নামের একটি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রক্তবীজ অর্ক বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে টিএসসিতে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ দেখি এক লোক মেয়েদের দিকে মোবাইল তাক করে জুম করে ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট (অশোভন) ভিডিও করছে। আশপাশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই লোকটি দৌড় দিয়ে সোজা টিএসসির ভেতরে ঢুকে পড়েন। আমরাও পেছনে যেতে চাই। কিন্তু পরে দেখি, সেখানে গুপ্ত সংগঠনের কিছু ছোট ছোট টিম আমাদের টিএসসির ভেতর ঢুকতে দিচ্ছে না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অর্ক লিখেন, ‘প্রায় ৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি মোট ৬ বার নিজের নাম বদলায়, ৪টিরও বেশি ফেসবুক আইডি দেখায়।’

ছাত্রশিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই কলেজছাত্রকে আড়াল করার অভিযোগ তুলে অর্ক তাঁর পোস্টে আরও লিখেন, ‘প্রক্টর স্যার ওই ব্যক্তির মেসেঞ্জারে দেখলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির- চৌমুহনী কচুয়া” গ্রুপে সে একেবারে অ্যাকটিভ সদস্য। ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রশিবিরের লোকজন তাকে আড়াল করতে গেল কেন?’

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিয়ান ফারুক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘নারী নিপীড়কদের শেল্টার (আশ্রয়) দেয় কারা? টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়। এই প্রতিবাদের বিপরীতে টিএসসির গেইটের মুখে শিবিরেরাও স্লোগান দিতে থাকে। এমন এক মুহূর্তে শিবিরের এক কর্মী আমাদের প্রতিবাদের ভেতর চলে এসে নারীদের আপত্তিকর ভিডিও নিতে শুরু করে। ধরা পড়ার পর সে জোরপূর্বক পালিয়ে যায়। পালিয়ে শিবিরের মিছিলে ঢুকে পড়ে এবং টিএসসির ভেতর শেল্টার নেয়।’

ওই ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বাধা দেন অভিযোগ করে নাহিয়ান ফারুক আরও লিখেন, ‘একজন অপরাধীকে তারা টিএসসিতে ঢুকতে দিলেও, আমাদেরকে টিএসসিতে ঢুকতে বারবার বাধা দেয়। আমরা জোরপূর্বক ভেতরে যাই এবং প্রক্টরসহ শিবিরের ফরহাদের (ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ) সাথে কথা হয়। ঐ ঘটনার পর সেই হ্যারাসার (নিপীড়ক) ধরা পড়ে।’

প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেটা কবি নজরুল কলেজে পড়ে, চাঁদপুরে বাড়ি। আমার কাছে একটু বেকুব টাইপের মনে হয়েছে। তবে ইসলামিক এটা বোঝা যায়। আমি তখন ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদেরকেও বলেছি, আমার কাছে দুটো অপশন— হয় পুলিশে দেওয়া, না হয় অভিভাবকসহ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া।’

প্রক্টর আরও জানান, ‘পরে ওর দুজন মামাতো ভাই ও একজন ছোটবেলার বন্ধু আসে। আমরা প্রাথমিকভাবে মুচলেকা নিয়েছি। ওর ছবি নিয়েছি আর ফোন রেখে দিয়েছি। ওর মুচলেকার কপি চাঁদপুর, শাহবাগ ও চকবাজারের (সে যেখানে থাকে) থানায় পাঠাব এবং জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হবে। পরে যদি এমন কোনো কিছু করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সরাসরি ব্যবস্থা নেবে।’ তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে নিয়ে গেছেন বলেও জানান প্রক্টর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ