ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিসি ক্যামেরা রয়েছে এমন ভোটকেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত পাঠাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন সচিবালয়।

বুধবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক জরুরি চিঠিতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

জরাজীর্ণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা চেয়েছে ইসি

আজকের মধ্যে প্রবাসী ভোটারদের আবেদন তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ইসির

চিঠিতে বলা হয়, প্রতিটি জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকাটি ‘নির্বাচন সহায়তা–১’ শাখায় পাঠাতে হবে। 

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, তালিকাটি নির্ধারিত ছক অনুযায়ী হার্ডকপি ও নিকস ফন্টে সফটকপি উভয় আকারেই জমা দিতে হবে।

ইসি জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তালিকা প্রাপ্তির পর কমিশন সারা দেশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাবে, যা নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি আরো জোরদার করতে সহায়তা করবে।

নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তার মতে, সিসি ক্যামেরা থাকা কেন্দ্রগুলোর অবস্থান, সংখ্যা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জানা গেলে অনিয়ম পর্যবেক্ষণ সহজ হবে। প্রয়োজনে নতুন ক্যামেরা স্থাপন বা পুরোনো ক্যামেরা মেরামতের উদ্যোগ দ্রুত নেওয়া সম্ভব হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে যত বেশি সম্ভব ভোটকেন্দ্রকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকে এবং ভোটার ও প্রার্থীদের আস্থা আরো বৃদ্ধি পায়।

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ভ টক ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পেঁয়াজের দামবৃদ্ধিতে কার পকেট ভারী?

প্রায় দুই মাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে শুধু দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের পরপরই চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের দাম একলাফে ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা এই আকস্মিক দামবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

ক্রেতাদের অভিযোগ, পেঁয়াজ চাষ করে কৃষক ন্যায্য দাম পান না, অথচ মধ্যস্বত্বভোগীরা এই সুযোগে রমরমা মুনাফা লুটে নেয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় কার লাভ, কার ক্ষতি- রাইজিংবিডি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী আব্দুল বাশির ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, “আমরা পার্শ্ববর্তী জেলার হাটবাজার থেকে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্য দামে পেঁয়াজ কিনি। কৃষকের লাভ না হলেতো আমাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করবে না। আমরাও সামান্য লাভে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। মোটাদাগে বলা যায়, কারোর ক্ষতি হচ্ছে না, সবাই লাভবান হচ্ছেন।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল হক দুলাল বলেন, “কৃষককে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ইয়ার ফ্লো মেশিন দেওয়া হয়েছে। যেসব কৃষক পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পেরেছেন, তারা এখন দাম পাচ্ছে। এভাবে দাম পেলে পেঁয়াজ আবাদ আরো বাড়বে।”

অন্যদিকে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মত ভিন্ন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক্সপার্ট কিউরেটর শহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কৃষকের কাছে বর্তমানে তেমন পেঁয়াজ মজুদ নেই। স্থানীয় বাজারে যেসব দেশি পেঁয়াজ আসছে, তা মূলত পার্শ্ববর্তী জেলা- যেমন রাজশাহীর তাহেরপুর, বানেশ্বর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা থেকে পাইকাররা সরবরাহ করছেন।

শহিদুল ইসলামের মতে, “এই প্রক্রিয়ায় পেঁয়াজ বিক্রি করে সবচেয়ে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বাভোগীরা। কৃষকরা তেমন লাভ পাচ্ছেন না। নভেম্বর মাসজুড়ে পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে। তবে তিনি এটাও মনে করেন যে, এমন দাম পেলে কৃষকরা কিছু অংশে লাভবান হবেন এবং দেশি পেঁয়াজের আবাদে আরো উৎসাহিত হবেন।”

সব মিলিয়ে, পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন সরবরাহকারী মধ্যস্বত্বভোগী পাইকাররা। অন্যদিকে, যারা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখতে পেরেছেন, সেই কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা এবং সেই সব কৃষক, যারা সংরক্ষণের অভাবে মৌসুমের শুরুতে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

ঢাকা/শিয়াম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ