জোহরান মামদানিকে নিয়ে লন্ডনের আরেক মুসলিম মেয়র সাদিক খান কী বললেন
Published: 6th, November 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল দেখতে জেগে ছিলেন। বিশেষভাবে নজর রেখেছেন নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের দিকে। সেখানে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট প্রার্থী ও অভিবাসী পরিবারের সন্তান জোহরান মামদানি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এ শহরের প্রথম মুসলিম মেয়রও।
আরও পড়ুননিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি০৫ নভেম্বর ২০২৫নিউইয়র্কে এক মিলিয়নের (১০ লাখ) বেশি মানুষ জোহরান মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। এ ফলাফল লন্ডনের আরেক মুসলিম মেয়র সাদিক খানের নিজের অভিজ্ঞতাকেই মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, এটি ‘উদার, প্রগতিশীল ও বহু সাংস্কৃতিক’ রাজনীতির জয়। ভোটাররা ‘ভয় ও বিভক্তি’ উপেক্ষা করে সংখ্যালঘু ধর্ম ও জাতিগত সম্প্রদায়ের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন।
গতকাল বুধবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলো বলেন মেয়র সাদিক খান।
সাদিক খান রিও ডি জেনিরোতে আন্তর্জাতিক মেয়রদের সম্মেলন থেকে বলেন, মামদানির প্রচার ছিল ‘ভয়কে জয় করার ও বিভাজনের ওপর ঐক্য প্রতিষ্ঠার’ প্রতীক। তিনি অভিযোগ করেন, এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁর নীতির সমালোচনা করার বদলে ‘মুসলিমবিরোধী ঘৃণা’ ব্যবহার করেছেন।সাদিক খান বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরা আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এ জন্যই আমি লন্ডনের মানুষদের গর্বিত বলে মনে করি। তাঁরা বারবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। একইভাবে নিউইয়র্কের মানুষ জোহরানকে নির্বাচিত করেছেন।’
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি ২০২৫ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তাঁর সমর্থকদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার মেয়র-তোমার মেয়র, মামদানি-মামদানি’—বাংলাদেশিদের স্লোগানে মুখর কুইন্স
ইতিহাস গড়া এক ভোটে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম নগরী নিউইয়র্কের মেয়র হতে যাচ্ছেন জোহরান মামদানি। তাঁর এই বিজয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামদানির জয়ের খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে নিউইয়র্কের কুইন্স, উচ্ছ্বাসের মাত্রা এতই বেশি ছিল যে সেই খবর সিএনএনও দিয়েছে।
কুইন্সের জ্যামাইকায় অনেক বাংলাদেশিদের বাস, সেখানে রাতেই স্লোগান উঠতে থাকে—‘আমার মেয়র-তোমার মেয়র, মামদানি-মামদানি’, ‘নিউইয়র্কের মেয়র, মামদানি-মামদানি’, ‘শ্রমিক শ্রেণির মেয়র, মামদানি-মামদানি’।
সিএনএন লিখেছে, রাস্তায় নেমে স্লোগানমুখর এই বাংলাদেশিদের হাতে ব্যানারে লেখা ছিল, ‘জ্যামাইকার বাংলাদেশি আমেরিকানরা মামদানির জন্য।’ ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং উগান্ডার শিক্ষাবিদ মাহমুদ মামদানির ছেলে জোহরান তাঁর ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকে বাংলাদেশিদের সমর্থন পেয়ে আসছিলেন। তাঁর পক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচারে নামা বেশ সাড়া ফেলেছিল। মামদানি নিজেও বাংলায় কথা বলে তাঁদের মন জয় করে নেন।
ডেমোক্রেট প্রার্থী মামদানি গতকালের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি হারিয়েছেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে, যাকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই জোহরান মামদানি১ ঘণ্টা আগেএই জয়ের মধ্য দিয়ে মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হতে যাচ্ছেন। এই নগরীর প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম মেয়রও হবেন তিনি। গত এক শতাব্দীর মধ্যে তিনি হবেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।
আরও পড়ুননিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি৪ ঘণ্টা আগে