বিল অ্যাকম্যান একজন হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক ও ধনকুবের। ট্রাম্পের গোঁড়া সমর্থক তিনি। এবার নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর নির্বাচনী প্রচারে শীর্ষ দাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। সেই অ্যাকম্যান গতকাল বুধবার মেয়র পদে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানিকে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেননি।

গতকাল বিল অ্যাকম্যান তাঁর এই সহানুভূতিশীল সুরের পেছনের ভাবনাও ব্যাখ্যা করেছেন।

জোহরান মামদানি সম্পর্কে অ্যাকম্যান বলেন, ‘তিনি আগামী চার বছরের জন্য আমাদের মেয়র হতে চলেছেন।’

জোহরান মামদানি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। তাঁর মা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান অধ্যাপক মাহমুদ মামদানিও জন্মগতভাবে ভারতীয়।

ধনকুবের অ্যাকম্যান আরও যোগ করেন, ‘আমি নিউইয়র্ক নগরের জন্য গভীরভাবে ভাবি। ১৮৯০-এর দশকে আমরা নিউইয়র্কের অভিবাসী হওয়ার পর থেকে এই নগর আমার ও আমার পরিবারের প্রতি খুব সদয় ছিল।’

অ্যাকম্যান আরও বলেন, জোহরান মামদানিকে তিনি সমর্থন না করলেও তিনি এই নগরকে সাহায্য করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়র যেই হোন না কেন, আমি তাঁকে সাহায্য করতে পারি।’

ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জোহরান মামদানি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইয়র্ক নগরের ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে জোহরান শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন।

একই সঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী কোনো অভিবাসী প্রথম নিউইয়র্কের মেয়র হলেন। শুধু তাই নয়, এক শতাব্দীর মধ্যে জোহরান হচ্ছেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য কম য ন ন উইয়র ক

এছাড়াও পড়ুন:

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা মাতাল ব্যক্তির

রাজধানী মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক শহরতলির রাস্তায় নাগরিকদের সাথে কথা বলার সময় মঙ্গলবার মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেছে এক মাতাল ব্যক্তি। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের আগেই প্রেসিডেন্টকে স্পর্শ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বুধবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তিটি চুম্বনের জন্য প্রেসিডেন্ট শাইনবাউমের দিকে ঝুঁকে পড়ে। একপর্যায়ে সে হাত দিয়ে প্রেসিডেন্টের দেহ স্পর্শ করে। এসময় প্রেসিডেন্ট আলতো করে তার হাতটি সরিয়ে দেন, তার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসিমুখে বলেন. “চিন্তা করবেন না।”

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করার অনুরোধের সাথে সাথে সাড়া দেয়নি।

শাইনবাউম, তার পূর্বসূরী এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোরের মতো জনগণের সাথে সংযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেন। প্রায়শই তিনি সেলফি এবং করমর্দনের জন্য জনগণকে সুযোগ দেন।

মঙ্গলবারের ভিডিওতে তার নিরাপত্তার চিত্র তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান ছিল না।

পশ্চিম মিচোয়াকান রাজ্যে একজন মেয়রের প্রকাশ্যে হত্যার পর রাজনৈতিক সহিংসতা সম্পর্কে শাইনবাউমকে বারবার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে, এমন এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল এক অস্থির দৃশ্য। মঙ্গলবার, শাইনবাউম মেয়রের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মামদানি স্বপ্ন দেখছেন, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন
  • নিউ ইয়র্ক-এর ফাস্ট লেডি ‘রামা দুয়াজি’
  • রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
  • ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক
  • এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
  • মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা মাতাল ব্যক্তির
  • মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি যেভাবে বদলে দিতে পারে
  • নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই জোহরান মামদানি
  •  কে এই জোহরান মামদানি?