জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারি কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল–পূর্ববর্তী সমাবেশে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতসহ আন্দোলনরত আটটি দল। আজ বেলা ১১টার দিকে দলগুলো আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে এসে সমবেত হন।

সমাবেশে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও গণভোট করতে আইনি বাধা নেই। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে নতুন পথ বেরিয়ে আসবে।

তাহের বলেন, অনেকে গণভোটের ক্ষেত্রে খরচের কথা বলেন। এক দিনে বাংলাদেশে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, সেই টাকা দিয়ে একটা গণভোট করা যায়। তাই গণভোটে টাকার অভাব হবে না।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ, জামায়াত নির্বাচন, সমাধান, শান্তি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায়। সরকারও দলগুলোকে আলোচনা করতে বলেছে। তবে সরকারকে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের তারিখ ঘোষণার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলের মিছিল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ গণভ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম দফায় রাজ্যটির ২৪৩টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ১২১ টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

রাজ্যটির ১৮টি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই আসনগুলো। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে শতকরা ২৭.৬৫ শতাংশ। এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট এবং বিরোধী মহাজোট। 

আরো পড়ুন:

নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দল ঘোষণা, নেই ছেত্রী

এনডিএ জোটের শরিক দলগুলো হলো- বিজেপি, জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ), হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা, বিকাশশীল ইনসান পার্টি। 

অন্যদিকে মহাজোটের শরিক দলগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), কংগ্রেস, সিপিআইএমএল, সিপিআইএম, সিপিআই। যদিও এবারের নির্বাচনে এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশটির ভোট কুশলী এবং রাজনৈতিক নেতা প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টি। 

প্রথম দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৫ জন, নারী প্রার্থী ১ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯ জন। 

প্রথম দফায় মোট ১৪১৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে পুরুষপ্রার্থী ১১৯২ এবং নারী প্রার্থীর সংখ্যা ১২২। এদফায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে। এছাড়াও নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী সম্রাট চৌধুরী (তারাপুর কেন্দ্র), কৃষিমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা (লক্ষ্মীসরাই কেন্দ্র), স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে (সিওয়ান কেন্দ্র), জনশক্তি জনতা দল প্রার্থী তেজ প্রতাপ যাদব (মহুয়া কেন্দ্র), লোকসংগীত শিল্পী বিজেপি প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর (আলিনগর কেন্দ্র), ভোজপুরি সুপারস্টার আরজেডি প্রার্থী কেশরী লাল যাদব (ছাপরা), আরেক ভোজপুরি সুপারস্টার জন সুরজ পার্টি প্রার্থী রিতেশ পান্ডে (কারগাহার কেন্দ্র)। এছাড়াও বিহারের রাজনীতিতে বাহুবলী পরিচিত আরজেডি প্রার্থী ওসামা সাহাব (রঘুনাথপুর কেন্দ্র) এবং জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং (মোকামা কেন্দ্র) থেকে লড়াই করছেন। 

এদিন সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ কুমার যাদব, উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, রাজ্যটির দ্বিতীয় উপ মুখ্যমন্ত্রী রাজীব সিনহা, মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, রাজীব রঞ্জন সিং প্রমুখ।

দ্বিতীয় দফায় ১২২ আসনে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা আগামী ১৪ নভেম্বর। 

আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নির্বাচন এবং সরকার গঠন সম্পর্কিত সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ