মামদানি স্বপ্ন দেখছেন, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন
Published: 6th, November 2025 GMT
সদ্য ৩৪-এ পা দিয়েছেন। ভারতীয় পিতা-মাতার সন্তান, গায়ের রং বাদামি, ধর্মে মুসলিম এবং রাজনীতিতে ঘোর বামপন্থী। সেই জোহরান মামদানি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখে যিনি শুধু বহিরাগত নন, সম্ভবত একজন অবৈধ অভিবাসী, নিউইয়র্ক সিটির তরুণতম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা এমন এক ঘটনা, যা রূপকথাকেও হার মানায়।
‘হ্যাঁ, আমি বয়সে নবীন। আমি মুসলিম এবং আমি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। সবচেয়ে বড় কথা, এর কোনোটার জন্যই আমি লজ্জিত নই,’—মঙ্গলবার রাতে (নিউইয়র্ক সময়) ব্রুকলিনে তাঁর বিজয় ভাষণে কয়েক হাজার উৎফুল্ল সমর্থকের প্রতি সহাস্যে এ কথা বলেন মামদানি। উপস্থিত দর্শকদের অধিকাংশই তাঁর মতো নবীন ও অভিবাসী, যাঁদের ভোটে এমন অসম্ভব বিজয় সম্ভব হয়েছে। এক লাখের মতো তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সারা শহরের প্রতিটি মহল্লায়, ঘরে হেঁটে মামদানির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে মামদানি নিজে তাঁদের সঙ্গ দিয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশগ্রহণের এমন নজির এই শহর আগে কখনো দেখেনি।
সেসব স্বেচ্ছাসেবকের দিকে তাকিয়ে মামদানি বলেন, ‘এই বিজয় আমার একার নয়, এই শহরের বহুভাষী, বহু ধর্মের, বহু সংস্কৃতির মানুষের, যাঁদের প্রত্যেকের পরিচয় অভিবাসী হিসেবে।’ নিউইয়র্ক আগে যেমন ছিল এখনো তেমনই অভিবাসীদের শহর। শুধু নতুন হচ্ছে এই যে এখন থেকে এই শহরের নেতৃত্বে থাকবে একজন অভিবাসী।
আরও পড়ুনজোহরান মামদানিকে বেছে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প২ ঘণ্টা আগেজোহরান মামদানি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ম মদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা মাতাল ব্যক্তির
রাজধানী মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক শহরতলির রাস্তায় নাগরিকদের সাথে কথা বলার সময় মঙ্গলবার মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেছে এক মাতাল ব্যক্তি। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের আগেই প্রেসিডেন্টকে স্পর্শ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বুধবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তিটি চুম্বনের জন্য প্রেসিডেন্ট শাইনবাউমের দিকে ঝুঁকে পড়ে। একপর্যায়ে সে হাত দিয়ে প্রেসিডেন্টের দেহ স্পর্শ করে। এসময় প্রেসিডেন্ট আলতো করে তার হাতটি সরিয়ে দেন, তার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসিমুখে বলেন. “চিন্তা করবেন না।”
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করার অনুরোধের সাথে সাথে সাড়া দেয়নি।
শাইনবাউম, তার পূর্বসূরী এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোরের মতো জনগণের সাথে সংযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেন। প্রায়শই তিনি সেলফি এবং করমর্দনের জন্য জনগণকে সুযোগ দেন।
মঙ্গলবারের ভিডিওতে তার নিরাপত্তার চিত্র তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান ছিল না।
পশ্চিম মিচোয়াকান রাজ্যে একজন মেয়রের প্রকাশ্যে হত্যার পর রাজনৈতিক সহিংসতা সম্পর্কে শাইনবাউমকে বারবার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে, এমন এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল এক অস্থির দৃশ্য। মঙ্গলবার, শাইনবাউম মেয়রের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।