এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি আগে কখনো দেখেনি: ইসরায়েলের কর-পরিচালক
Published: 23rd, June 2025 GMT
ইরান সোমবার ইসরায়েলে অন্তত চার দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছ, তবে সংখ্যায় খুব বেশি নয়; প্রতি ধাপে হয়তো সর্বোচ্চ ১০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে ইরান। প্রতিবার হামলায় কম সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র রাখা হচ্ছে; তবে আঘাতে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে বেশি। ইরানের কৌশলে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গ ঝাঁকে ঝাঁকে নয়; তারা এখন বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প করে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।
সোমবার ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাইরেন বাজতে থাকে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র আশদোদ বন্দর এলাকায় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দে আঘাত করে, যার ফলে ৮ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার যৌক্তিকতা বিশ্বে ভুল বার্তা দিচ্ছে: চীন
ইরানে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়: নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী
এতে আর্থিক দিক থেকেও ইসরায়েলের বড় ক্ষতি হচ্ছে। দেশটির কর কর্তৃপক্ষের পরিচালক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারটির বেশি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়েছে, যার মোট পরিমাণ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
তিনি জানিয়েছেন, এছাড়া ৩০টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।
ইসরায়েলের কর বিভাগের এই পরিচালক বলেছেন, “আমরা এর আগে এত বেশি ক্ষতি কখনো দেখিনি।”
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিচুয়েশন রুমে ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্র এখন কী করে সবার নজর সেদিকে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুম’-এ অবস্থান করেন পূর্বনির্ধারিত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সেখান থেকেই তাঁরা কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই হামলা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যে হামলা করে, তারপর থেকেই এমন পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সব মার্কিন বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল, প্রস্তুত ছিল এমন একটি হামলার জন্য।
তবে ইরানের এই হামলার প্রকৃত মাত্রা ও পরিসর সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। যখন সেই তথ্য পাওয়া যাবে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সামনে দাঁড়াবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- এখন কীভাবে জবাব দেওয়া হবে?
এই মুহূর্তটি এক জটিল সন্ধিক্ষণ। এখানেই নির্ধারিত হবে—এই সংঘাত কি আরও বিস্তৃত, জটিল ও অনাকাঙ্ক্ষিত এক যুদ্ধের দিকে গড়াবে, নাকি এখনো তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব?
যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল ছিল—একটি নিখুঁত, লক্ষ্যভিত্তিক হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করা এবং সেখানেই থেমে যাওয়া। কিন্তু ইরানের পাল্টা জবাব ছিল অবশ্যম্ভাবী।
এখন গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে—এই প্রতিক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি ডেকে আনবে, সেটা দেখার জন্য।