ইরান সোমবার ইসরায়েলে অন্তত চার দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছ, তবে সংখ্যায় খুব বেশি নয়; প্রতি ধাপে হয়তো সর্বোচ্চ ১০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র  ছোড়া হয়েছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে ইরান। প্রতিবার হামলায় কম সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র রাখা হচ্ছে; তবে আঘাতে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে বেশি। ইরানের কৌশলে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গ ঝাঁকে ঝাঁকে নয়; তারা এখন বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প করে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।

সোমবার ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাইরেন বাজতে থাকে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র আশদোদ বন্দর এলাকায় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দে আঘাত করে, যার ফলে ৮ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার যৌক্তিকতা বিশ্বে ভুল বার্তা দিচ্ছে: চীন

ইরানে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়: নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী

এতে আর্থিক দিক থেকেও ইসরায়েলের বড় ক্ষতি হচ্ছে। দেশটির কর কর্তৃপক্ষের পরিচালক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারটির বেশি ক্ষতিপূরণের দাবি জমা পড়েছে, যার মোট পরিমাণ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

তিনি জানিয়েছেন, এছাড়া ৩০টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।

ইসরায়েলের কর বিভাগের এই পরিচালক বলেছেন, “আমরা এর আগে এত বেশি ক্ষতি কখনো দেখিনি।”

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজ তরুণীর লাশ মিলল খালে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার লামারপাড়া খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণীর নাম সাজেদা আক্তার (২০)। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আজিম উল্লাহর মেয়ে। সন্ধ্যায় তাঁর লাশ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণী ১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি স্বজনেরা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের পর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের আলোকে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ