বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুর। দেড় যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ‘চকলেট বয়’ রণবীর কাপুর লাখো নারীর ক্রাশ। চলনে-বলনে যেমন সতর্ক, তেমনি ফ্যাশনেও কম যান না এই নায়ক। যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন ‘বরফি’ তারকা। কিন্তু কত টাকার মালিক রণবীর কাপুর?
টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে— চলতি বছরের হিসাব বলছে, রণবীর কাপুর ৩৪৫ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) মালিক। সিনেমা ছাড়াও বিজ্ঞাপন, রিয়েল এস্টেটসহ একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে তার। রণবীর কাপুর প্রতি সিনেমার জন্য ৫০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি সিনেমার লভ্যাংশ নেন এই অভিনেতা। বিজ্ঞাপনের জন্য ৬ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি।
একটি সূত্র বলেন, “তার সম্পদের উৎস অনেক। চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন, ব্যবসায়িক বিনিয়োগ এবং মুম্বাই সিটি এফসিতে তার অংশীদারিত্ব রয়েছে। ধীরে ধীরে, ‘সঞ্জু’ অভিনেতা তার নিজস্ব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড চালু করে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের নাম তৈরি করছেন।”
ঋষি কাপুর-নিতু কাপুর দম্পতির একমাত্র রণবীর কাপুর। সহকারী পরিচালক হিসেবে রুপালি জগতে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০০৭ সালে ‘সাওয়ারিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। অভিষেকেই তাক লাগিয়ে দেন এই অভিনেতা। ফিল্মি পরিবারের সন্তান হলেও ঝলমলে দুনিয়ায় সফলতা পেতে তাকে কম কষ্ট করতে হয়নি। এখন বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের অন্যতম রণবীর। প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে বেশ কিছু পুরস্কার।
রণবীর কাপুর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘বরফি’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দেওয়ানি’, ‘রকস্টার’, ‘ইয়ে দিল হ্যায় মুশকিল’, ‘সঞ্জু’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘শমশেরা’, ‘অ্যানিমেল’ প্রভৃতি।
রণবীর কাপুরের পরবর্তী সিনেমা ‘রামায়ণ’। নীতেশ তিওয়ারি নির্মিত এ সিনেমায় রাম চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন সাই পল্লবী; সীতা রূপে দেখা যাবে তাকে। রণবীর এ সিনেমার জন্য ৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন বলে জানা যায়। হিন্দি, তামিল, তেলেগু ছাড়া আরো বেশ কিছু ভাষায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ২০২৬ সালের দীপাবলিতে সিনেমাটির প্রথম পার্ট মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র ক প র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ পথ অস্পষ্ট: ট্রাম্প
ইউক্রেন শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ পথ অস্পষ্ট বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন দূতদের মধ্যে ‘যথেষ্ট ভালো’ আলোচনার পরেও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় শীর্ষ ইউক্রেনীয় আলোচক রুস্তেম উমেরভের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।
বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, পুতিন একটি চুক্তি করতে চান, কিন্তু “সেই বৈঠক থেকে কী বেরিয়ে আসবে তা আমি আপনাকে বলতে পারছি না কারণ এটি করতে দুইজনের সময় প্রয়োজন।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘(ইউক্রেনের সাথে) বেশ ভালোভাবে কিছু সমাধান করেছে।’
বুধবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে কিছু মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং একটি সমঝোতা খুঁজে বের করার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু ‘এখনো সমঝোতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
উভয় পক্ষই ক্রেমলিনে তাদের আলোচনার সারমর্ম প্রকাশ না করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে একটি মীমাংসার পথে অন্তত একটি বড় বাধা রয়ে গেছে; রাশিয়ার আংশিকভাবে দখল করা চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ভাগ্য।
একজন রাশিয়ান কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভূখণ্ডের ইস্যুতে ‘এখনো পর্যন্ত কোনো সমঝোতা খুঁজে পাওয়া যায়নি’, যা ছাড়া ক্রেমলিন ‘সঙ্কটের কোনো সমাধান’ দেখতে পাচ্ছে না।
ঢাকা/শাহেদ