Samakal:
2025-07-13@12:17:41 GMT

দুর্ভোগে ৫০ মিটারের দুঃখ

Published: 13th, July 2025 GMT

দুর্ভোগে ৫০ মিটারের দুঃখ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারের অভ্যন্তরে খাদ্যগুদামের সামনের রাস্তাটি প্রায় ৫০ মিটার। এই ছোট অংশটুকুর নির্মাণকাজ ঝুলে থাকায় দুর্ভোগ কমছে না স্থানীয়দের।

সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে যেমন তৈরি হয় জলাবদ্ধতা, তেমনি পানি শুকিয়ে গেলে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে স্বাভবিক চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের কয়েকজন বলেন, মাত্র ৫০ মিটার রাস্তার জন্য ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়েছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত ওই অংশের কাজ শেষ করা দরকার।

এলজিইডির হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে ধর্মপাশা থানার সামনে থেকে বাহুটিয়াকান্দা পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণ এবং ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের শয়তানখালী সেতু নির্মাণ ও একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ পায় সুনামগঞ্জের মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওই বছরের ২৬ মার্চ কার্যাদেশ দিলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য গত বছর বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনও করেন। পরে সময় বর্ধিত করা হয়। ইতোমধ্যে থানার সামনে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলেও খাদ্যগুদামের সামনে প্রায় ৫০ মিটার জায়গার কাজ এখনও বাকি। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ওই অংশে সড়কটি প্রশস্ত করতে হলে খাদ্যগুদামের সীমানাপ্রাচীর ভাঙার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সীমানাপ্রাচীর ভাঙার ব্যাপারে অনুমতি না মেলায় কাজ করা যায়নি।

ধর্মপাশা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,  পুরোনো সীমানাপ্রাচীরের অভ্যন্তরে এলজিইডির নিজ খরচে নতুন একটি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়া সাপেক্ষে সড়ক প্রশস্তকরণের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন বলেন, বাজারের প্রধান সড়কটির বিভিন্ন জায়গা কিছু ব্যবসায়ীর দখলে রয়েছে।  খাদ্যগুদামের সামনের অংশের কাজ না হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি এবং জরুরি প্রয়োজনে বাজারের অভ্যন্তরে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক থেকে দখল উচ্ছেদসহ খাদ্যগুদামের সামনের অংশের কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, খাদ্যগুদামের সীমানাপ্রাচীরের কারণে সড়কটি প্রশস্ত করা যাচ্ছিল না। সীমানাপ্রাচীর সরানোর অনুমতি দেরিতে পাওয়ায় কাজটি শেষ করতে দেরি হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ৫০ ম ট র শ ষ কর ন বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

খানাখন্দে ভরা সড়কে মৃত্যুঝুঁকি

সড়কে খানাখন্দ। কোথাও পিচঢালাই আছে, কোথাও নেই। বৃষ্টিতে পানি-কাদায় একাকার। দিন দিন এসব খানাখন্দ বড় আকার ধারণ করছে। তাতে প্রতিদিন উল্টে পড়ছে যানবাহন। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। কাদাপানি ছিটকে কাপড়চোপড় নষ্ট হচ্ছে। এমন দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

এ চিত্র ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার অংশের। স্থানীয় ব্যক্তিরা সড়কটি সংস্কারে বারবার দাবি জানালেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে সড়কটি। 

সরেজমিন দেখা যায়, ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা, নগরকান্দা উপজেলার মহিলা রোড, তালমা ও পুখুরিয়া এলাকার সড়কের বেশি নাজুক অবস্থা। গাড়ি চালানোর কোনো উপায় নেই। রাস্তা গর্তে ভরা।  গর্তে চাকা পড়ে প্রায়ই বিকল হয় যানবাহন। এর পরও বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে বাস, ট্রাক, লরি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত যানবাহনসহ থ্রি-হুইলার।

শনিবার ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ফরিদপুরে এসেছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক কাশেম বেপারী। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর আসতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। রাস্তা এমনই বেহাল যে, ঝাঁকুনিতে রোগী আরও অসুস্থ পড়ে। বড় বড় গর্ত বৃষ্টির কারণে চোখে পড়ে না। রাতের বেলা গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। 

একই দিন নগরকান্দার মহিলা রোড এলাকায় দেখা যায় মালবাহী একটি লরি বিকল হয়ে পড়ে আছে। লরিটির সামনের দুটি চাকা পুরোপুরি নষ্ট। গাড়িটি বগুড়া থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। 

চালক আকবর হোসনে বলেন,  রাস্তার জঘন্য অবস্থা। গাড়ি চালানোর কোনো কায়দা নেই। গর্তে পড়ে ঝাঁকুনি খেয়ে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। মিস্ত্রি আসবে, তারপর গাড়ি ঠিক করা হবে। এতে  ৩০ হাজার টাকা লেগে যাবে। দুপুরে আরও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে কয়েকজন যাত্রী আহত হন। 

স্থানীয় বাসিন্দা  ফয়েজুল বারী জানান, এই এলাকায় প্রতিদিন অটোরিকশা উল্টে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত রাস্তা সংস্কারসহ চার লেনের দাবি জানান।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কারের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সংস্কারকাজ শুরু করা হয়নি। বাখুন্ডা এলাকায় ইট-বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করতে দেখা যায় সড়ক বিভাগকে। 

সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি দ্রুত চার লেনে করার দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সপক্ষে প্রচারণা। ‘ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন’ নামে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৩ জুলাই রোববার বেলা ১১টায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী  খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, দুটি প্যাকেজের আওতায় সড়ক মেরামতের জন্য ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে জরুরি ভিত্তিতে সড়কের খানাখন্দ ভরাটের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৩২ কিলোমিটারের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর অংশ চার লেন করার দাবিতে মানববন্ধন
  • বর্ষায় তিন মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে সড়কটিতে
  • খানাখন্দে ভরা সড়কে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি
  • খানাখন্দে ভরা সড়কে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি৷
  • নোয়াখালীতে এখনো পানিবন্দী দুই লাখ মানুষ
  • প্রতি ঢেউয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, নির্ঘুম ৩০ গ্রাম
  • রাস্তা করল উত্তর সিটি, উদ্বোধনে বিএনপি নেতা!
  • খানাখন্দে ভরা সড়কে মৃত্যুঝুঁকি
  • বালু বেশি দিয়ে সড়কের ঢালাই, ক্ষোভ