অন্তর্বর্তী সরকার জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে: কাদের গনি চৌধুরী
Published: 6th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার কিংবা ফ্যাসিবাদ নির্মূলে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে কাদের গনি চৌধুরী এ কথা বলেন। বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল ও সাগর-রুনি হত্যার বিচার—এসব দাবির একটিও পূরণ হয়নি। সরকার দৃশ্যমান সংস্কার আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
জুলাই সাহসী সাংবাদিক পুরস্কার নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, যাঁরা রাজপথে ছিলেন না, তাঁদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আর প্রকৃত সাংবাদিকদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হলেও চূড়ান্ত বিজয় এখনো আসেনি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’ তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা এখনো বন্ধ হয়নি। ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো এখনো প্রচারিত হচ্ছে। এসব প্রশ্নের জবাব সরকারকে দিতে হবে।
ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় একজন ব্যক্তির পরামর্শে সাংবাদিকদের উপেক্ষা করে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছে। কল্যাণ ট্রাস্ট এখন আত্মীয়স্বজন পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ খান বক্তব্য দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাতভর ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন হামলা
রাশিয়া শুক্রবার রাতে ইউক্রেনে বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক অবকাঠামো ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণের পর শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের উপায় খুঁজে বের করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লড়াই তীব্র হয়েছে।
টেলিগ্রাম অ্যাপে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো, বেসামরিক উৎপাদনকারী কোম্পানি এবং আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে প্রায় ৫৮০টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৫২টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, “সারা রাত ইউক্রেন রাশিয়ার একটি বিশাল আক্রমণের শিকার হয়েছিল। এই ধরনের প্রতিটি হামলা সামরিক প্রয়োজন নয় বরং বেসামরিক নাগরিকদের আতঙ্কিত করার এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ার একটি ইচ্ছাকৃত কৌশল।”
তবে রাশিয়া ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
ঢাকা/শাহেদ