বাবা-মায়ের উপর বিরক্ত, ডিম খান না, পাখিতে ভয় কিয়ারার
Published: 7th, August 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। ‘কবীর সিং’, ‘গুড নিউজ’, ‘শেরশাহ’-এর মতো হিট সিনেমা অভিনয় ক্যারিয়ারে একের পর এক উপহার দিয়েছেন। এসব সিনেমায় তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন কিয়ারা। তাদের সংসার আলো করে এসেছে একটি কন্যা সন্তান। আপাতত মাতৃত্বকালীন ছুটি উপভোগ করছেন এই অভিনেত্রী। ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘র্যাপিড ফায়ার’ বিভাগে অংশ নিয়ে অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এমন দশটি প্রশ্নের উত্তর থেকে চলুন কিয়ারা আদভানিকে জেনে নিই—
এক.
কিয়ারা: আমি সবসময়ই অভিনেত্রী হতে চেয়েছি।
আরো পড়ুন:
চৌত্রিশে থেমে গেল নায়কের জীবন
প্রেম করছেন ধানুশ-ম্রুণাল?
দুই. স্কুল বা কলেজে শিক্ষকরা আপনাকে কী কারণে ডাকতেন?
কিয়ারা: আমি ক্লাস ফাঁকি দিতাম। যার কারণে স্কুলে আমাকে ব্ল্যাক লিস্টে রাখা হয়েছিল। এজন্য আমার মা আমাকে নিয়ে হতাশ ছিলেন।
তিন. আপনার বাবা-মায়ের একটা অভ্যাস বলুন, যা আপনাকে বিরক্ত করে—
কিয়ারা: আমি যখন কাজ থেকে বাসায় ফিরি, তখন আমার বাবা-মা সবকিছু জানতে চান। যেমন: কে কী বলেছে, কাজ কেমন ছিল, তুমি কী করেছিলে ইত্যাদি। আসলে বাসায় ফেরার পর কারো সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। আমি আমার ঘর ও বিছানা চাই। তাদের কৃতিত্ব স্বীকার করতেই হয়, তারা আমাকে নিজের মতো থাকতে দিতে শিখে গেছেন।
চার. ভাইয়ের সঙ্গে আপনার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি কী?
কিয়ারা: অনেক স্মৃতি আছে। তবে আমি বলব, আমাদের হঠাৎ করে হয়ে যাওয়া রবিবারের লাঞ্চ। তারপর আমরা ক্রস ময়দানে যেতাম, সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করতাম। তার সঙ্গে এটাই আমার প্রিয় স্মৃতি এবং কাজ।
পাঁচ. এমন তিনটি খাবারের নাম বলেন, যা আপনি খেতে ভালোবাসেন।
কিয়ারা: চকলেট, সুশি, দোসা।
ছয়. এমন একটি খাবারের নাম বলেন, যা আপনি কখনো খেতে পারেন না।
কিয়ারা: ডিম। ডিমের প্রতি আমার এক ধরনের বিতৃষ্ণা আছে। ডিমের যেকোনো অংশই হোক। সেটা সাদা, হলুদ কুসুম—আমি কোনোটাই খেতে পারি না।
সাত. ভালোবাসাকে এক শব্দে প্রকাশ করুন।
কিয়ারা: সুখ।
আট. যে জিনিসে আপনি ভীষণ ভয় পান।
কিয়ারা: পাখি। আমি পাখি ভীষণ ভয় পাই। সবসময় মনে হয়, ওরা উড়ে এসে আমার মুখে ধাক্কা মারবে।
নয়. এখন পর্যন্ত আপনার প্রিয় সিনেমা কোনটি?
কিয়ারা: ঠিক আছে! আমি আমার নিজের সিনেমাই বেছে নেব—‘কবীর সিং’।
দশ. এমন তিনটি পোশাকের নাম বলুন, যা পরে আপনি সারাজীবন থাকতে পারবেন?
কিয়ারা: পাজামা, অ্যাথলেজার জিম পোশাক, আরামদায়ক ভারতীয় পোশাক।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সবাই সাবধান, শহরে নাগিন আজমেরী হক এসেছে’
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আন্দোলনের শুরু থেকে জোরোলো ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কখনো ফেসবুকে, কখনো দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের ব্যানারে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন এই শিল্পী।
চব্বিশের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘিরে তৈরি হওয়া মতপার্থক্য এখনো দূর হয়নি। ফলে বাঁধনকে নানাভাবে নানাজন কটাক্ষ করেছেন, আক্রমণ করেছেন। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। অন্তত, সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে পরিষ্কার বোঝা যায়। এবার বাঁধন জানালেন, গালি হিসেবে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘নাগিন’ শব্দটি।
আরো পড়ুন:
গায়ক জুবিনের প্রেম জীবন
‘ট্র্যাব এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন শিমুল খান
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাঁধন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি এখন জীবনের দুর্দান্ত সময় পার করছি (বিস্তারিত পরে বলব)। এরই মাঝে আমার ‘গালি’ সংগ্রহে নতুন এক সংযোজন হয়েছে, তা হলো— ‘নাগিন’।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে বাঁধন বলেন, “মানুষ আমাকে অনেক কিছুই বলেছেন। কিন্তু এই নামটা একদম নতুন, স্টাইলিশ…। সত্যি বলতে, এটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। তাই সবাই সাবধান—শহরে নাগিন আজমেরী হক এসেছে।”
বাঁধনের এই স্যাটায়ার পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের অনেকে রসিকতা করছেন। কেউ কেউ মানসিক সমর্থন জানিয়ে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
লাক্স তারকা থেকে রুপালি পর্দা, তারপর বিশ্ব মঞ্চ ও বলিউডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে তার এই চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। কারণ পেশাগত নানা সংকটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও সংগ্রামটা একাই করতে হয়েছে তাকে।
ঢাকা/শান্ত