সৈকতে ভেসে এল ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ জেলের লাশ
Published: 7th, August 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে মাছ শিকারে গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ এক জেলের লাশ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় ট্যুরিজম পার্ক-সংলগ্ন সৈকতে ওই ট্রলারটি ভেসে আসে। ট্রলারের মধ্যে ভেসে আসা জেলের নাম ইদ্রিস হাওলাদার (৫০)। লাশ শনাক্ত করেছেন তার জামাতা সাগর ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়ার ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলেসহ এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। সমুদ্রে চার দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। ১ আগস্ট নজরুল ইসলাম নামের এক জেলের লাশ সৈকতের মীরাবাড়ি পয়েন্টে ভেসে আসে। ট্রলারডুবির ওই ঘটনায় এখনে নিখোঁজ আছেন তিন জেলে।
কুয়াকাটা সৈকত এলাকার জেলে সোহেল মাঝি বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ট্রলারটি ভেসে আসে। ইদ্রিস মাঝির লাশ ট্রলারের মধ্যেই ছিল। ঢেউয়ের তাণ্ডবে ট্রলারটি কাত হয়ে গেলে লাশটি বাইরে বেরিয়ে আসে। ট্রলারটি ভেসে আসতে দেখার পর আমরা পুলিশ ও স্থানীয়দের খবর দিই।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেছেন, লাশসহ ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজ তরুণীর লাশ মিলল খালে
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার লামারপাড়া খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণীর নাম সাজেদা আক্তার (২০)। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আজিম উল্লাহর মেয়ে। সন্ধ্যায় তাঁর লাশ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণী ১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি স্বজনেরা।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের পর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের আলোকে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।