ডুবে যাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। এতে মিলেছে এক নিখোঁজ জেলের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের পূর্ব দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কসংলগ্ন এলাকায় ট্রলারটি খুঁজে পাওয়া যায়।

মৃত ওই জেলের নাম ইদ্রিস হাওলাদার (৫০)। তিনি মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা। এক ব্যক্তি নিজেকে ইদ্রিসের স্বজন দাবি করে লাশটিকে শনাক্ত করেছেন। ওই ট্রলারের থাকা আরও তিন জেলে এখনো নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলেসহ এফবি সাগরকন্যা নামের মাছধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। সেখানে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে আরেকটি ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। পরে ১ আগস্ট নজরুল ইসলাম নামের ওই ট্রলারে থাকা এক জেলের মরদেহ ভেসে আসে কুয়াকাটা সৈকতের মীরা বাড়ি পয়েন্ট এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো.

মনিরুজ্জামান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের মরদেহসহ ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজ তরুণীর লাশ মিলল খালে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার লামারপাড়া খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণীর নাম সাজেদা আক্তার (২০)। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আজিম উল্লাহর মেয়ে। সন্ধ্যায় তাঁর লাশ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণী ১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি স্বজনেরা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের পর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের আলোকে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ