না:গঞ্জে বিএনপির দুই নেতা চাঁদাবাজির অভিযোগে কারাগারে
Published: 7th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপর সাবেক যুগ্ম আহবায়ক টি.এইচ তোফাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকালে বজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারা মোতাবেক ৩০ দিনের আটকাদেশ প্রদান করেন।
এরআগে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ডের এস.
সকালে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় ডিটেনশনের জন্য বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি জহির জানান, আসলাম ও তোফাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় ডিটেনশনের জন্য বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়। পরে বিকালে এক মাসের আটকাদেশ দিয়ে তাদের কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া আটককৃত টি এইচ তোফার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ ধারার পাশাপাশি দণ্ডবিধির ৪৩৫ ধারায়ও মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি ও তরুণ দলের এই দুই নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করে।
এরমধ্যে এসএম আসলাম এসওরোড এলাকায় মেঘনা জ¦ালানি তেলের ডিপো ও টিএইচ তোফা শিমরাইল মোড়ের ফুটপাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সত্যতা মিলে। পরে তাদের আটক করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এইচ ত ফ আইন র র আটক আসল ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তনের দাবিতে ১৩ প্রতিষ্ঠানের স্মারকলিপি
শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুর সেতুর পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কালীর বাজার ও দিগুবাবুর বাজার এলাকার ১৩ টি ব্যবসায়ী, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে স্থানীয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার মাধ্যমে এ স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করার প্রয়োজনে এর উপর কদম রসুলসেতু নির্মাণের সংবাদটিতে আমারা আনন্দিত এবং পাশাপাশি উদ্বিগ্ন।
কদম রসুল সেতুটির প্রকল্প নকশায় আমরা দেখতে পাই এর পশ্চিমাংশের মুখটি শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক ফলপট্টি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে এসে নেমেছে।
এইটি এভাবে বাস্তবায়িত হলে তা আমাদের ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য একটি ভয়াবহ দুর্ভোগের কারণ হবে বলে আমরা মনে করি। এমনিতে এক-নং রেল গেট থেকে পুরো সিরাজ উদদ্দৌলা সড়কটিতে সব সময় অস্বাভাবিক ট্র্যফিক জ্যাম থাকে।
এখানে শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় স্কুল নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, পাশে নারায়ণগঞ্জ কলেজ, এর সাথে শহরের দুইটি বৃহত্তর বাজার দিগুবাবু বাজার ও কালীর বাজারে প্রদেশের মুখ।
বড় বিষয় জায়গাটি যেমনি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক আবার দেশের বৃহত্তকর রঙ ও সুতার বাজার টানবাজারে প্রবেশেরও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যার ফলে এখানে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে।
সর্বোপরি এই সড়কেই একটি রেলক্রসিং থাকাতে বিভিন্ন সময় এখানে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমনি একটি ব্যস্ততম সড়কে কদম রসুল সেতুর মুখ যদি যুক্ত হয় তা হলে সে সেতু থেকে যানবাহন সড়কে নামার ক্ষেত্রে যেমনি সংকটে পড়বে অন্যদিকে এই পুরো এলাকাটিই সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
আমরা অতি দ্রুত এই সেতুটির পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। অপরিকল্পিত উন্নয়ন জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি করা ছাড়া কোন সুফল বয়ে আনে না। যেনতেন ভাবে প্রকল্প সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মানুষের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি না করার জন্য আমরা আপনার যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্মারকলিপি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কালীর বাজার কমিটি, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, আবদুল্লাহ (র.) মাজার ও মসজিদ, বায়তুস সালাত জামে মসজিদ, শ্রী শ্রী জয় কালী মন্দির, কালীর বাজার বৃহত্তর ঔষধ মার্কেট, শ্রী শ্রী শিব শীতলা তারা মায়ের মন্দির, এন ইসলাম রেলওয়ে মার্কেট, নারায়ণগঞ্জ শপিং কমপ্লেক্স, কদম আলী মস্তান খানকা শরীফ, কালীর বাজার ফ্রেন্ডস মার্কেট, হাজী তারা মিয়া মার্কেট ও কালীর বাজার ইলেক্ট্রিক কল্যাণ সমিতি।
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন, ডা. সাইফুল ইসলাম, কালীর বাজার ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম, তানভীর হোসেন, মো. শফিউদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. নাজির খান, এলাকাবাসী মো. সুমন চৌধুরী, জুয়েল হোসেন প্রমুখ।