ময়মনসিংহ মেডিকেলের হোস্টেল থেকে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, চিরকুট জব্দ
Published: 13th, August 2025 GMT
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের হোস্টেল থেকে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, মানসিক চাপ থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম শরিফা ইয়াসমিন সৌমা (২১)। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেলের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খুলনার খালিশপুরে। সৌমা তায়েদুর রহমান এবং ফাতেমা আক্তার দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সৌমা শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি চিরকুট ও ইনজেকশন সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে। প্রায় ৪-৫ পৃষ্ঠার দীর্ঘ চিরকুটে তিনি তার মানসিক চাপ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কষ্টের কথা লিখে গেছেন।
আরো পড়ুন:
উত্তরবঙ্গের রেলপথ আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এবার রেলপথ অবরোধের ঘোষণা রবি শিক্ষার্থীদের
সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌমা দীর্ঘদিন ধরে পড়ালেখা এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, সৌমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মানসিক চাপ থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ময়মনসিংহের পথে রওনা হয়েছেন সৌমার মা-বাবা। তারা পৌঁছানোর পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/মিলন/মাসুদৎ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’
এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।