র্যাগিংয়ের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
Published: 14th, August 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সাবেক ছাত্র উপদেষ্টাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক মো.
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২-১৫ জুলাই পর্যন্ত লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা নবীন শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে জানতে লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোসা. শামসুন্নাহারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন। আজ বিকেলে তিনি বলেন, ‘শোকজের বিষয়টি আমি দেখেছি। আমি বর্তমানে দায়িত্বে নেই। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরেও এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য অপমানজনক। আমরা শোকজের জবাব দেব। আমি ও বিভাগের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা করিনি। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। র্যাগিং একটি বিকৃত মানসিকতার কাজ। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই র্যাগিং চলতে দেওয়া হবে না।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ