বদরুদ্দীন উমর কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি: ফখরুল
Published: 19th, September 2025 GMT
কমরেড বদরুদ্দীন উমর জীবনে কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি, তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বদরুদ্দীন উমরের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বিপ্লব সফল করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে: ফখরুল
ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজ আমরা যারা রাজনীতি করছি তারা কমরেড বদরুদ্দীন উমর সাহেবের কাছে খুবই ছোট, কারণ তিনি কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি। আজকে যারা নতুন প্রজন্মের তারা বদরুদ্দীন উমরের কাছ থেকে কতটুকু নিতে পেরেছেন তা আমার জানা নেই।”
“বদরুদ্দীন উমর একটা কথা বলতেন–সংগঠন, সংগঠন, সংগঠন। বিপ্লব তখনই সফল হয় যখন সংগঠন থাকে। আজ যে হতাশা এসেছে তার মূল কারণ সংগঠনের অভাব। বিপ্লবী সংগঠন না থাকলে বিপ্লব হয় বলে আমার মনে হয় না। আজকে যারা সমাজ বদলাতে চান, সাধারণ মানুষের অবস্থা পরিবর্তন করতে চান, তাদের অবশ্যই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বদরুদ্দীন উমরের ভাষায় একেবারেই মানুষের কাছে চলে যেতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে তিনি অদ্বিতীয় ছিলেন। আমরা জানি ভীতি ও মোহ কীভাবে মানুষকে গ্রাস করে। বদরুদ্দীন উমরের ক্ষেত্রে এসবের কিছুই তাকে গ্রাস করেনি। তিনি সারাজীবন কাজের মধ্যে ছিলেন, ক্লান্তি কাকে বলে তা তিনি জানতেন না। সংগ্রামের জীবন থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। এসব দিক থেকে তিনি অসাধারণ ছিলেন।তাকে কোনো অসাধারণ মানুষ হিসেবে নয়, আমাদের আপনজন হিসেবে ধারণ করি। বিপ্লবের জন্য যে সংস্কৃতির দরকার হয় তা উমর যেভাবে বুঝতেন খুব কম বামপন্থি রাজনৈতিকই বুঝতেন।”
জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “বদরুদ্দীন উমর যে ঘরোনায় বেড়ে উঠেছেন আমি সেই ঘরোনার নই। আমরা কিছুটা বিপ্লববিরোধী ছিলাম। আমি ছাত্রলীগ করতাম। আমরা স্লোগান দিতাম ‘হো হো মাও মাও, চীনকে যাও, ব্যাঙ খাও’। সে সময় ভালো ছেলে রাজনীতি করবে এটা একদমই প্রচলিত ছিল না। আমাদের সে সময়ের রাজনীতি ছিল জ্ঞান বিবর্জিত। রাজনীতিতে জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা তিনি নিয়ে আসেন। আমার যে বড় হওয়া সেটাতে তার ভূমিকা আছে বলে আজ মনে হচ্ছে। তার প্রয়াণের পর আজ এটা বুঝতে পারছি। আমি তার রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে একমত নই, কিন্তু বিরোধও নেই। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।”
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন,“সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে যদি পড়তে হয় তাহলে বদরুদ্দীন উমরের কাছে যেতে হবে। বিপ্লবী তত্ত্ব নির্মাণ কীভাবে হলো তা বুঝতে হলে বদরুদ্দীন উমরের কাছে যেতে হবে।১৯৫২ থেকে ৭৪ সাল অবধি পড়তে হলে জানতে হলে উমর একজন অনিবার্য সঙ্গী। বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মাধ্যমে তার রাজনীতিতে আসা, ভীষণ শক্ত এক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা তার রাজনীতি। ফলে মৃত্যুর শেষদিন অবধি তিনি সত্যের পথে অবিচল ছিলেন।”
উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র বদর দ দ ন উমর র ক র র জন ত স গঠন ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ আসনেই শাপলা কলি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এনসিপি: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তার দল। এক্ষেত্রে সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হবে। এ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। যারা নতুন নেতৃত্ব ও নতুন বাংলাদেশ চান, তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।”
নির্বাচন কমিশনে এনসিপির নিবন্ধন ও শাপলা প্রতীক পাওয়া মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: নাহিদ
আগামী নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই: নাহিদ
নাহিদ বলেন, “এই নিবন্ধন লাভ করতে গিয়ে আমাদের অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা শাপলা প্রতীক বরাদ্দ চাইলেও কমিশন দেয়নি। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের এক ধরনের ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অবশেষে আমরা শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছি। যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের অভিনন্দন জানাই।”
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “আমরা জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে জুলাই পদযাত্রা করেছি। সেখানে মানুষ আমাদের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন দিয়েছে। আশা করি জাতীয় নির্বাচনেও দেশবাসীর বিপুল সমর্থন পাব।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ