জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসসের (বাগছাস) সাবেক সংগঠক শ্যামলী সুলতানা জেদনীর সঙ্গে তার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে দুজনের আংটি বদলের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেন আবদুল হান্নান মাসউদ।

এনসিপির আলোচিত এই নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, “আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়।" (সূরা আন-নাবা, আয়াত ৮)।আলহামদুলিল্লাহ।”

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির সিদ্ধান্ত

সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জন অতিরিক্ত জেলা জজকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভা। সভাসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে বেলা তিনটা থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত ওই সভা চলে বলে সভাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

সভাসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৩৪৫ জনকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব আসে। তাঁদের মধ্যে ২৬৫ জনের বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এ ছাড়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ—এ দুটি পদে সাত শতাধিক বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর তৎকালীন বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোছা. কামরুন্নাহারের বিষয়টি সভায় আলোচনায় ওঠে বলে সভাসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সভাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রশাসনিক আদেশে তাঁর বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়, রিভিউর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়েছে। সভায় আলোচনা শেষে প্রশাসনিক দিকটি খতিয়ে দেখার জন্য বিষয়টি জিএ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। জিএ কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি পুলিশকে ঘটনার ৭২ ঘণ্টার পর ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার কথা বলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওই বিচারককে আদালতে না বসার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এরপর মোছা. কামরুন্নাহারকে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ