বরিশালে গৌরনদী উপজেলায় নদীপথে স্পিডবোটে এসে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাজারের পাহারাদারদের বেঁধে আট দোকানে ডাকাতি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ বাজারে ডাকাতি সংঘটিত হয়। 

আরো পড়ুন:

সাভারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

মুরাদনগরে মন্দিরের জমি থেকে মাটি লুট

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাহার মাতুব্বর জানিয়েছেন, নদীপথে একটি স্পিডবোটে করে ১২-১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল হোসনাবাদ বাজারে আসে। বাজারে ঢুকে প্রথমে অস্ত্রের মুখে পাহারাদার পলাশ ও আয়নাল হককে বেঁধে ফেলে। পরে বাজারের আটটি দোকানের তালা কেটে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, ডাকাত দল তিনটি স্বর্ণের দোকান থেকে স্বর্ণালংকার, একটি বেকারি থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইলের দোকান থেকে নগদ প্রায় ৭ লাখ টাকা ও দুটি মুদি দোকান থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। 

বেকারিতে প্রবেশের সময় শ্রমিকরা বাধা দিলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয়। বাজারের সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে ডাকাতদল।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘রাতে এবং সকালে দুই দফায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’’ 
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ

এছাড়াও পড়ুন:

ড্রোনের পর এবার ছোট পারমাণবিক চুল্লি তৈরিতে নামছে তুরস্কের বায়কার

তুরস্কের ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বায়কার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানিমন্ত্রী আলপারসলান বায়রাকতার।

তুরস্ক সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে মোট ১২টি প্রচলিত পারমাণবিক চুল্লির (এমএমআর) মাধ্যমে তাদের বিদ্যুতের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে।

এ ছাড়া সরকার নতুন ধরনের পারমাণবিক প্রযুক্তি, ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বায়রাকতার বলেন, বায়কার এসএমআর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তারা ৪০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরির চেষ্টা করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আঙ্কারা পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে একটি নতুন খসড়া আইন তৈরি করছে, যা এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রোটোটাইপ তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

বায়রাকতার আরও উল্লেখ করেন, এই খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।

বায়কারের চেয়ারম্যান সেলচুক বায়রাকতার (আলপারসলানের সঙ্গে যাঁর কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই) সেপ্টেম্বরে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার নতুন যুগে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সেলচুক বলেন, এ ক্ষেত্রে তুরস্ক এখনো তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছায়নি।

বায়কারের চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন হলো, ‘তুরস্ক কীভাবে তার নিজস্ব জাতীয় পারমাণবিক শক্তি সক্ষমতা অর্জন করবে এবং স্বাধীনভাবে এই প্রযুক্তির বিকাশ করবে। যখন আমরা ভাবি যে পারমাণবিক প্রযুক্তির রোডম্যাপ (পথনকশা) কী হওয়া উচিত, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হাজার হাজার প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।’

বায়কার হলো তুরস্কের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। তাদের ফ্ল্যাগশিপ সামরিক ড্রোন, বায়রাকতার টিবি২ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। সিরিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন ও লিবিয়ার সংঘাতে এই ড্রোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

এসএমআর এখনো পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি, যা যথেষ্ট বিনিয়োগের দাবি রাখে।

জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় বিকল্প এসএমআর প্রযুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি থোরিয়ামে চালিত পারমাণবিক চুল্লি প্রস্তুতকারক একটি সংস্থা কোপেনহেগেন অ্যাটমিক্স পরিদর্শন করার জন্য ডেনমার্কে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, তুরস্কের উল্লেখযোগ্য থোরিয়াম মজুত রয়েছে, যা ভবিষ্যতের জ্বালানি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ