বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রে‌ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইল।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরায় আমিরের কার্যালয়ে তাদের ম‌ধ্যে এ সাক্ষাৎ অনু‌ষ্ঠিত হয়।

জামায়াত জানায়, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং পরিপূর্ণ আরোগ্য কামনা করেন।

প‌রে তারা আসন্ন নির্বাচন, পিআর পদ্ধ‌তিসহ দে‌শের বিরাজমান প‌রি‌স্থি‌তি নি‌য়ে মত‌বি‌নিময় ক‌রেন। তা‌দের বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব‌লেও জা‌নি‌য়ে‌ছে দল‌টি।

বৈঠকে পিআর পদ্ধতিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় হয়। এছাড়া নারী অধিকার, নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা-বিশেষ করে জ্বালানি ও তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনাকালে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার প্রশংসা করেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার।

ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে আরো বেগবান করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়। গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামগুলোতে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

এ সময় অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিন্টন পোবকে, পলিটিক্যাল ফার্স্ট সেক্রেটারি আনা পিটারসনসহ ৪ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ দফা দা‌বি‌তে শুক্রবার গণমিছিল:
৫-দফা দা‌বি আদায়ের লক্ষে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট থে‌কে গণ‌মি‌ছিল বের কর‌বে জামায়াত। মি‌ছি‌লে নেতৃত্ব দে‌বেন দ‌লের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দ‌ক্ষি‌ণের আয়োজনে গণ‌মি‌ছিল সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন দ‌লের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

বৃহস্প‌তিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫-দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।” 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম র

এছাড়াও পড়ুন:

যে ১৫ কারণে করদাতার আয়কর রিটার্নের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়

অনেক করদাতার আয়কর রিটার্ন নিরীক্ষায় পড়ে যায়। এতে করদাতারা বিপাকে পড়ে যান। নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।

অবশ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর ফাইল আপাতত নিরীক্ষায় ফেলছে না। তবে করদাতার ফাইলের বিষয়ে জানতে চেয়ে নানা ধরনের নোটিশ দিচ্ছে।

আয়কর রিটার্ন অডিটে বা নজরদারিতে পড়ার বেশ কিছু কারণ আছে। সেখান থেকে বাছাই করা ১৫টি কারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. রিটার্নের তথ্য ও উৎসে কর কাটার তথ্যের অসামঞ্জস্য থাকলে নিরীক্ষায় পড়তে পারে। বিশেষ করে করদাতাদের আয়-ব্যয়, উৎসে কর কর্তন, ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে রিটার্নের তথ্যের মিল না থাকলে এমন নজরদারিতে পড়তে পারেন।

২. আগের বছরের তুলনায় হঠাৎ অস্বাভাবিক বেশি সম্পদ দেখালে কর কর্মকর্তাদের সন্দেহ হতে পারে। সম্পদ অর্জনের অর্থের উৎস ব্যাখ্যা না থাকলে সন্দেহ আরও গভীর হয়।

৩. আয় কম দেখানো হলো। কিন্তু রিটার্নে বাড়ি-গাড়ি, সম্পদ বেশি দেখালেও নিরীক্ষায় পড়তে পারেন করদাতা।

৪. কোনো ব্যবসায়ী করদাতার ব্যবসায় ব্যয় অস্বাভাবিক বেশি দেখানো হলেও নিরীক্ষায় পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, খরচ অনেক বেশি দেখিয়ে লাভ কম দেখান অনেকে।

৫. উৎসে কর কাটা থাকলেও রিটার্নে দাবি না করা বা ভুল দাবি করলে নিরীক্ষায় ফেলতে পারেন কর কর্মকর্তারা। তাই উৎসে কর কর্তনের ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া যাবে না।

৬. রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকলেও বিপাকে পড়তে পারেন। যেমন আয়, বিনিয়োগ, ব্যয়, সম্পদের দলিল, প্রমাণপত্র না থাকা বা ভুল কাগজপত্র না দেওয়া।

৭. নগদ অর্থ অস্বাভাবিক বেশি দেখানো হলে কর কর্মকর্তাদের সন্দেহের তালিকায় পড়তে পারেন। যেমন রিটার্নে হাতে নগদ টাকা (ক্যাশ ইন হ্যান্ড) বেশি দেখালে সন্দেহ হয়।

৮. ঋণ বা দায় অস্বাভাবিক বেশি দেখানো হলে নিরীক্ষায় জালে পড়বেন। তাই ঋণের উৎস ঠিকমতো ব্যাখ্যা দিতে হবে।

৯. উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাতের করদাতাদের দিকে বেশি নজর থাকে কর কর্মকর্তাদের। যেমন নির্মাণ, ঠিকাদার, সরবরাহকারী, জমি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসায়ী, গাড়ি ব্যবসায়ী ইত্যাদি।

১০. ব্যাংকে বড় অঙ্কের লেনদেন করলেও আপনি নিরীক্ষার মতো বিপাকে পড়তে পারেন। দেখা গেল, ওই নির্দিষ্ট বছরে ব্যাংকে বড় পরিমাণ টাকা জমা বা উত্তোলন আছে। কিন্তু রিটার্নে উল্লেখ নেই।

১১. সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য গোপন করলে নিরীক্ষায় পড়বেন। তাই রিটার্নে জমি, ফ্ল্যাট, গাড়ি ইত্যাদি দেখিয়ে দেবেন।

১২. বিনিয়োগের ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত বিনিয়োগ দেখানো বা ভুল বিনিয়োগ দেখিয়ে অনেকে বিভিন্ন সুবিধা নেন।

১৩. কর কর্মকর্তারা দৈবচয়ন ভিত্তিতে নিরীক্ষা করে থাকে। তাই কোনো ভুল না থাকলেও দৈবচয়ন পদ্ধতির কারণে কেউ কেউ নিরীক্ষায় পড়ে যান।

১৪. প্রথমবার রিটার্নে অতিমাত্রায় সম্পদ দেখানো বা দীর্ঘদিন পরে রিটার্ন দেওয়া হলেও নজরে পড়তে পারেন।

১৫. আগের বছরের নিরীক্ষায় সমস্যা পাওয়া গেলে পরের বছরে সেসব করদাতার নথি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ