টাঙ্গাইলে বিএনপির ৩১ দফায় জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মতবিনিময়
Published: 10th, October 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টাঙ্গাইলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইলের বেতকা আমিন বাজার এলাকায় ১৫ ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এ সভা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।
আরো পড়ুন:
বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন, প্রশ্ন ফখরুলের
গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ পালানোর নজির নেই: টুকু
১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহেল বাসেদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, যুব দলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু কামরুজ্জামান দুলাল। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক সংস্কারের নীলনকশা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেরও সুস্পষ্ট রূপরেখা। দুর্নীতি দমন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
তারা আরো বলেন, ‘‘তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি৷ এছাড়া ফেব্রুয়ারির মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।’’
ঢাকা/কাওছার/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিল ঘোষণার পর দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন না করার আহ্বান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবি-দাওয়া আছে—তা নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
আসন্ন নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অ্যাসিড টেস্ট: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের ফিরিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য: প্রেস সচিব
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী নির্বাচনি পরিবেশ যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষে কাজ করবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় নয় লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে-এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা জানি, অনেকেরই ন্যায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনকারীরা দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। সরকার ন্যায্য দাবিতে সবসময়ই সাড়া দিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।”
ঢাকা/এসবি