রূপগঞ্জে শীতলক্ষা নদী বাঁচাতে জামায়াত প্রার্থীর র্যালি
Published: 28th, November 2025 GMT
শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে ‘সেভ শীতলক্ষ্যা’ নামে র্যালি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মুড়াপাড়া কলেজ থেকে রান উইথ আনোয়ার হোসেন মোল্লা টু সেভ শীতলক্ষ্যা ব্যানারে র্যালীটি শুরু হয়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাটাব বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
নারায়ণগঞ্জ ১ রূপগঞ্জ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান হাফিজুর রহমান।
র্যালী শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান বলেন,এই শীতলক্ষা হচ্ছে রাজধানীর প্রাণ। শীতলক্ষা কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে শিল্প কারখানার প্রসার ঘটেছিল। এই শীতলক্ষার স্বচ্ছ পানি ছিল নাব্যতা ছিল।
এই শীতলক্ষাকে ধ্বংস করা হয়েছে অসৎ দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজ নেতৃত্ব আর সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীদের কারণে। আসুন আগামীতে শুধু শীতলক্ষ্যা নয় গোটা বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য আমরা শপথ গ্রহণ করি। সৎ নেতৃত্বের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
সমাবেশে র্যালীর মূল প্রতিপাদ্য তুলে ধরে বক্তব্য,রাখেন আনোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, শীতলক্ষ্যা নদী শুধু একটি নদী নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশের প্রাণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নদীটি আজ দখল-দূষণ অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার শিকার।
আমি আপনাদের সামনে আজ অঙ্গীকার করছি আপনারা যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে আমি নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, নদীর দুই পাড়ে সবুজ বেষ্টনী, নদীর পানি পরিষ্কার ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, আধুনিক ওয়াকওয়ে, লাইটিং, বিনোদন ক্ষেত্র, পরিবেশবান্ধব নদী পরিবহন ব্যবস্থা, নদীভিত্তিক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি.
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী খাঁন,জেলা আইন সম্পাদক এডভোকেট ইসরাফিল, জেলা শিবির সভাপতি আকরাম হোসেন,রূপগঞ্জ উত্তর ও পশ্চিম আমীর আবদুল মজিদ, ও মাওলানা ফারুক আহমাদ,দক্ষিণ, উত্তর ও পশ্চিম সেক্রেটারি, আনিসুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ ভূঁঞা প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য র পগঞ জ য বদল ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শ তলক ষ য র পগঞ জ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ডিসি রায়হান কবির
“দেশীয় জাত আধুনিক প্রযুক্তি, প্রাণীসম্পদের হবে উন্নতি” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ সদরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ফতুল্লার শেহাচরস্থ তক্কার মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা শিরিন’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রায়হান কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রদর্শনী বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. ইউনুস আলী।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিতা চক্রবর্তী’র সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আ. মান্নান মিয়া, জেলা হাঁস প্রজনন খামার’র উপপরিচালক কৃষিবিদ এবিএম সালাহ্ উদ্দীন আহমেদ, জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো. আবু সাইদ, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা হাসনাত ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. সায়মুন হোসেন প্রমূখ।
প্রদর্শনীর লক্ষ্য হলো - প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলার সক্ষমতা সৃষ্টি, জনসাধারণকে উন্নত জাতের পশু ও হাঁস-মুরগি প্রদর্শন করা, বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন- পালন কৌশল অবহিত করা, উন্নত জাতের পশু - পাখি পালনের আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা এবং সর্বোপরি, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
প্রদর্শনীতে উন্নত জাতের গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, পোষা পাখি এবং প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন করার জন্য ৩০টি স্টলের সংস্থান রাখা হয়।
প্রদর্শনীতে সফল ও বিজয়ী খামারিগণের মাঝে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য়, ৩য় এবং বিশেষ পুরষ্কার বিতরণ করা হয় এবং অবশিষ্ট অংশগ্রহণকারীগণের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়।