সিরিজ বাঁচাতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের পরাজয় দলকে ফেলেছে চিন্তায়। ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং আবারও ব্যর্থ, বিশেষ করে শুরুর দিকে উইকেট হারানোর প্রবণতা ফিরে এসেছে পুরোনো রোগের মতো।

তবে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও চিন্তার কোন কারণ দেখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, ‘’আমাদের সুযোগ ছিল। এখন আমাদের উন্নতি করার সুযোগ আছে। কারণ আমরা জানি এই ম্যাচে আমাদের কিছু ভুল হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’’

দ্বিতীয় ম্যাচেই দল ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস করেন অধিনায়ক, ‘’আমি আত্মবিশ্বাসী, পরের ম্যাচে দল ঘুরে দাঁড়াবে এবং ভাল করবে।’’

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের পথটা বাংলাদেশের জন্য এখন বেশ জটিল। প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ প্রথম মাচেই হার। ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের অষ্টম কিংবা নবম অবস্থানের মধ্যে না থাকতে পারলে অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা হারাবে বাংলাদেশ। তখন ১০ দলের বাছাইপর্ব খেলতে হবে। যা গত বিশ্বকাপে পেরোতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এই মুহূর্তে আফগানিস্তান ৯১ রেটিং নিয়ে আছে সপ্তমে। ৮৮ রেটিংয়ে আটে অবস্থান ইংল্যান্ডের। ৮০ রেটিংয়ে নয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এর পরেই দশম অবস্থানে বাংলাদেশ, রেটিং ৭৭।

সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের সামনে এখন আর কোনো ভুলের সুযোগ নেই। সিরিজ জিততে হলে পরের দুই ম্যাচই জিততে হবে। তাওহীদ হৃদয় সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, '’আমরা ভবিষ্যৎ নয়, সামনের ম্যাচে ফোকাস করতে চাই। একটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারলে বাকিটিও আমাদের হাতে আসবে।'’

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০ ম্যাচ খেলে ১১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ৯ ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান।

ঢাকা/ ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন ব শ বক প আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাফল্য তোমাকে অসুখীও করে তুলতে পারে: ইয়ামালকে পরামর্শ নাদালের

সাফল্য কে না চায়! কিন্তু সেই সাফল্যের বিপদও আছে। সবার নজর চলে যায় সফল মানুষটার দিকে। তখন একটু পা হড়কালেই সমস্যা। আর ভুল পথে হাঁটলে সাফল্যের খ্যাতিই হয়ে উঠতে পারে বিপদের কারণ। কিংবদন্তি স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের তাই পরামর্শ, সঠিক পথে হাঁটো, সঠিক মানুষদের পাশে রাখো।

ভাবছেন, পরামর্শটা কাকে দিলেন নাদাল? দিয়েছেন তাঁর দেশেরই এক সফল মানুষকে, বয়সের কারণে যাঁর আসলে এখন ভালো পরামর্শের খুব প্রয়োজন। লামিনে ইয়ামাল তাঁর নাম।

বয়স মাত্র ১৮। এ বয়সে ইয়ামাল এত কিছু পেয়েছেন, যা অনেকের সারাজীবনের স্বপ্ন! খেলছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব বার্সেলোনায়। এরই মধ্যে তিনি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। ক্লাবের হয়ে এরই মধ্যে লা লিগা জিতেছেন দুবার, সঙ্গে একটি করে কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। জাতীয় দল স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো।

বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন তিনি। ব্যালন ডি’অরে একবার রানারআপ হয়েছেন, দুবার জিতেছেন সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার কোপা ট্রফি। কিন্তু এই সাফল্যের পাশাপাশি মাঠে ও মাঠের বাইরে সাম্প্রতিক কালে তাঁকে নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। কখনো প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, কখনো বিলাসী পার্টিতে উদ্দাম, আবার কখনো আর্জেন্টাইন গায়িকা নিকি নিকোলের সঙ্গে প্রেম-ঘোরাঘুরি, ইয়ামালকে নিয়ে কত গুঞ্জন!

এর মধ্যে আবার চোট। ২০২৫-২৬ মৌসুমের বড় অংশ কাটাতে হয়েছে কুঁচকির চোটে। তবে ফেরাটা ছিল প্রত্যাশিত। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ৬ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট। যেন বুঝিয়ে দিলেন, মাঠের বাইরে যত আলোচনাই হোক, মাঠে তিনি দিন দিন ধারালোই হচ্ছেন। কিন্তু এই ধার কমে যেতে পারে মাঠের বাইরের ঘটনায় বেশি জড়িয়ে পড়লে। নাদাল তাই স্বদেশি তারকাকে দিয়ে রাখলেন সতর্কবার্তা—ফর্ম সামলানো সহজ, খ্যাতি সামলানো কঠিন। সব সময় রাশ টেনে ধরে রাখতে হবে নিজের।

আরও পড়ুনলিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, বিশ্বকাপ, ব্যালন ডি’অর—সব জিততে চান ইয়ামাল২১ নভেম্বর ২০২৫

মোভিস্টারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল প্রসঙ্গ আসতেই নাদাল বলেছেন, ‘তার চারপাশে এমন সব মানুষ থাকা দরকার, যারা সত্যিই তাকে সমর্থন করবে। সফল মানুষেরা যেসব কথা শুনতে পছন্দ করে না, সেগুলো বলার মতো বুদ্ধিমান হতে হবে ওদের। তার চারপাশে এমন মানুষ থাকা দরকার, যারা সত্যিই তার ভালো চায়। আর তার মধ্যেও সেই মানুষদের কথা শোনার ক্ষমতা থাকতে হবে। আলোয় থাকা একজন তরুণের জন্য এটা সহজ নয়। কিন্তু এটা তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

নাদাল আরও যোগ করেন, ‘তার পাশে এমন মানুষ থাকা দরকার, যারা তার উপকারে আসবে। ওরা পরিবারের মানুষ হতে পারে, কিংবা তার সতীর্থ। দেখুন, সবার বাস্তবতা আলাদা, সবার মানসিকতা আলাদা। সাফল্যের অনেক পথ আছে। কিন্তু সেই সাফল্য কে কীভাবে সামলায়, সেটাই ঠিক করে দেয় মানুষটা সুখী হবে নাকি অসুখী। কারণ, সাফল্য আর খ্যাতি একসময় আপনাকে গ্রাস করে ফেলতে পারে। আপনাকে অসুখী করে তুলতে পারে।’

আরও পড়ুনমেসির মতো হতে ইয়ামালকে যে পরামর্শ দিলেন বার্সা কোচ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইয়ামাল চাইলে নাদালের পরামর্শগুলো নিতে পারেন। কারণ, সাফল্যের যে পথে এখন তিনি হাঁটছেন, সেই পথটা অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন নাদাল। মাত্র ১৪ বছর বয়সে পেশাদার টেনিসে পা রেখেছিলেন। ১৯-এ পৌঁছানোর কয়েক দিনের মধ্যে জেতেন প্রথম ফ্রেঞ্চ ওপেন, উঠে যান বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বরে। কিন্তু এই খ্যাতি কখনো তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। নিজেকে দারুণভাবে সামলে রেখেছেন বলেই আজ নাদাল টেনিসের সর্বকালের সেরাদের একজন।

এখন ইয়ামালই ঠিক করবেন, তিনি ফুটবলে সর্বকালের সেরাদের হতে চান, নাকি কয়েক মৌসুমের তারকা হয়ে পরে হারিয়ে যাবেন!

সম্পর্কিত নিবন্ধ