পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ
Published: 12th, October 2025 GMT
কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার জেরে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তানি সামরিক পোস্টে হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যবহার করা হয় ভারী অস্ত্র।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, চলতি সপ্তাহে কাবুলে পাকিস্তানি বিমান হামলার পর এই সহিংসতা শুরু হয়। তালেবান বাহিনী অভিযোগ করেছে, ইসলামাবাদ আফগান ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে তারা পাল্টা সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে পাকিস্তানের দুটি সীমান্ত পোস্ট দখলের দাবি করেছে তালেবান।
আরো পড়ুন:
বিশ্বনাথে হুমায়ুন-লুনা অনুসারীদের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাদারীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারা শক্ত হাতে জবাব দিয়েছেন। এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “আজ রাতে তালেবান বাহিনী কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্টে গুলি চালানো শুরু করে। আমরা সীমান্তের চারটি স্থানে আর্টিলারি হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছি। পাকিস্তানি বাহিনী কোনো আগ্রাসন সহ্য করবে না।”
পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাল্টা হামলায় আর্টিলারি, ট্যাংক এবং হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ইসলামাবাদ বিমান হামলায় সম্পৃক্ততা স্বীকার বা অস্বীকার না করলেও কাবুলকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করে। এই গোষ্ঠীটি ২০২১ সাল থেকে শত শত পাকিস্তানি সেনা হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, “পাকিস্তানের জনগণের জীবন রক্ষায় আমরা যা প্রয়োজন, তা করছি এবং করে যাব।”
তিনি আফগানিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, তাদের ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার না হয়।
ইসলামাবাদভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, “টিটিপি ঘাঁটির ওপর সাম্প্রতিক হামলা এবং আফগান সরকারের নিষ্ক্রিয়তা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করেছে। পাকিস্তানের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছিল, তাই তারা সরাসরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়াল নিচ্ছে না, ব্রাজিল ডাকছে না, কী হয়েছে বিস্ময় বালক এনদ্রিকের
আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগায় পরের ম্যাচটা খেলবে ১৯ অক্টোবর, হেতাফের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেও যদি দলে সুযোগ না পান এনদ্রিকে, তাহলে তাঁর বেকারত্বের সময়কাল বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৪ দিনে। মানে প্রায় পাঁচ মাস!
১৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সর্বশেষ খেলেছিলেন এই বছর ১৮ মে, সেভিয়ার বিপক্ষে, আগের মৌসুমের শেষ দিকের এক ম্যাচে। তারপর অনেক কিছু বদলে গেছে—রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জাবি আলোনসো, এনদ্রিক পেয়েছেন ক্লাবের ৯ নম্বর জার্সি, তারপর দুবার চোটে পড়েছেন, আবার গ্রীষ্মের দলবদলে তাঁর ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনও ছড়িয়েছে, কিন্তু তিনি কোথাও যাননি।
ওদিকে এ নিয়ে টানা তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিরতি যাচ্ছে, যেখানে এনদ্রিক ব্রাজিল দলে নেই। মার্চে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের ম্যাচেই সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। সেই হারের পরই বরখাস্ত হন কোচ দরিভাল জুনিয়র, তাঁর জায়গায় বসানো হয় কার্লো আনচেলত্তিকে। কিন্তু এনদ্রিকের আর ব্রাজিলের হয়ে খেলা হয়নি।
ব্রাজিলের অনুশীলনে এনদ্রিক