রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন শুরুর সোয়া ৫ ঘণ্টায় গড়ে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি এ তথ্য জানান।  

অধ্যাপক সেতাউর রহমান বলেন, ‘দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন হলগুলোতে গড়ে প্রায় ৫৫, ৬০, ৬২ এর রকম ভোট পড়েছে। সেই হিসেবে গড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু হলে ভালো ভোট পড়েছে। যেমন সোহরাওয়ার্দী হলে পৌনে ২টার আগে ৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সবকিছু সুন্দরভাবেই হচ্ছে।’

সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত গড়ে মোট ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

আরও পড়ুনভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ ছাত্রদলের, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে শিবির৩ ঘণ্টা আগে

রাকসুর ২৩টি পদে ২৪৭ জন, ১৭টি হলে ১৫টি করে পদে ৫৯৭ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন ভোটার ৪৩টি পদে ভোট দিতে পারবেন। সময় পাবেন ১০ মিনিট।

রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ১৬ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটারসংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।

আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচন : ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে, আমদানি করা কালির মান নিয়ে প্রশ্ন৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাত কলেজ নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি উদ্বেগজনক: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, “সাত কলেজকে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ও ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় দ্বিধা তৈরি করছে।”

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুবিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন ছাত্রদল নেতা

‘সাজিদ হত্যার ৯০তম দিন, এরপর কি আমি?’

তিনি বলেন, “বিভিন্ন গ্রুপে গুজব ছড়ানো মোটেও কল্যাণকর নয়।”

তিনি আরও জানান, “উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বিবেচনায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বে সিরিজ সভা ও মন্ত্রণালয়ের নিবিড় উদ্যোগের মাধ্যমে পরিকল্পনাটি এগোয়। ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রায় ৪,৫০০ মতামত সংগৃহীত হয়েছে এবং বিভিন্ন লিখিত মন্তব্যও পাওয়া গেছে। এগুলো মন্ত্রণালয়ের ১২ সদস্য যাচাই করছেন।”

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় আমরা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে আছি। আশা করছি, আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় এই বিষয়গুলো উপস্থাপন ও আলোচনার মাধ্যমে ড্রাফট তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”

ড. আবরার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “যতটা সম্ভব নিয়ম, নীতি এবং উৎসাহের মধ্য দিয়ে আমরা এগোচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ